নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সমন্বয় ঘটেছে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার। পাশেই আউটার স্টেডিয়াম থাকায় অনুশীলন করার প্রক্রিয়াও সহজ ও অবারিত। তারপরও ২০২০ সালের মার্চের পর এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়নি কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এমনকি আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসতে যাওয়া ইংল্যান্ড দল এখানে খেলতে রাজী হয়নি, এমন খবর চাউর হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে আসন্ন সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে ইংলিশরা। সিরিজের ম্যাচগুলো হবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ও চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আগের দিন একটি গণমাধ্যমের কাছে আরেক বিসিবি পরিচালক আকরাম খান জানিয়েছেন, নানা কারণে সিলেটে খেলতে সম্মত হয়নি ইংল্যান্ড। সেই প্রসঙ্গে নিজের হতাশা ও অসন্তোষ গোপন করলেন না সিলেটের স্থানীয় ক্রিকেট সংগঠক ও বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা সিলেট স্টেডিয়ামে রয়েছে। তাছাড়া, এই ভেন্যুতে খেলা হলে নামে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকের ঢল। গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা মেলে না। দলগুলোর থাকার ব্যবস্থা নিয়ে অতীতে অবশ্য প্রশ্ন তোলার সুযোগ ছিল। সেই জটিলতাও দূর হয়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে একটি পাঁচ তারকা হোটেল চালু হয়েছে এখানে। গতকাল এবারের বিপিএলের সিলেট পর্বের শুরুর দিনে স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাদেল। ইংল্যান্ডের এখানে আসতে না চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তিনি তো বলেছেন, আমি জানি না। তার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ হয়েছে সেটা তিনি বলতে পারবেন। ইংল্যান্ড এখানে খেলবে না আমি বলি নাই। এটা যিনি বলেছেন, তিনি জানেন। আমি মনে করি, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে, বিশেষ করে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিলেটের যে সম্পর্কটা এবং ইংল্যান্ড দলে যারা খেলেন, তাদের কিন্তু সিলেটের প্রতি... সিলেটে খেলার ব্যাপারে আগ্রহ আছে। এখানে যে সুযোগ-সুবিধা আছে সেটা তো অন্য জায়গায় এভাবে নেই। তারা আসতে চাইবে না, এটা আমি জানি না আসলে। ক্রিকেটারদের আবাসন নিয়ে সমস্যা কেটে গেলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ না পাওয়ায় নাদেলের কণ্ঠে শোনা যায় তির্যক মন্তব্য, ‘এখন হয়তো আমাদের সেভেন স্টার (সাত তারকা হোটেল) খুঁজতে হবে। ফাইভ স্টার (পাঁচ তারকা হোটেল) তো হয়ে গেছে।’
হতাশ হলেও নাদেল আশা করেন যে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনের ক্ষেত্রে সিলেটে ভেন্যুর প্রতি সুদৃষ্টি পড়বে বিসিবির, ‘সিলেটে তো শুধু বিপিএল নয়, যেকোনো ক্রিকেটের আসর যখন বসে, দর্শকে মাঠ ভরপুর থাকে। সেটা আপনারাও দেখেছেন। এবার আমরা চার দিনে আটটা ম্যাচ পেয়েছি।... আমাদের এই ভেন্যু সুযোগ-সুবিধা, সৌন্দর্য সব কিছু নিয়ে যে জায়গায় এসেছে, আগামী দিনে আমরা আরও টুর্নামেন্ট পাব, সেই প্রত্যাশা সব সময়ই করি। আবার আশাহতও হই। ইংল্যান্ড সফরে আমরা ম্যাচ পাইনি। (এরপর) আয়ারল্যান্ড সফর এখানে হবে। তো আমি আশাবাদী। আবাসনসহ আমাদের অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। ইতোমধ্যে এই সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি। আমি আশা করি, আগামী দিনে যারা এই খেলাগুলোর সময়সূচি নির্ধারণ করবেন, ভেন্যু নির্ধারণ করবেন, তারা আরেকটু সদয় হবেন। আরেকটু সুবিবেচক হয়ে তারা সিলেটের দর্শকদের এবং আপনাদের চাহিদা পূরণ করতে তারা এগিয়ে আসবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।