Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে সেমিতে রিয়াল

কোপা দেল রে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রথম ৪৫ মিনিটে অপরিকল্পিত, হতাশাজনক ফুটবল খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে দাঁড়াল বিরতির পর। করতে থাকল একের পর এক আক্রমণ। রদ্রিগোর অসাধারণ নৈপুণ্যে মিলে গেল গোলও। অতিরিক্ত সময়ে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জালে আরও দুবার বল পাঠিয়ে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনাল উঠল কার্লো আনচেলত্তির দল। গতপরশু রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু’তে কোয়ার্টার-ফাইনালের শেষ ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। আলভারো মোরাতার গোলে পিছিয়ে পড়া স্বাগতিকরা সমতায় ফেরে রদ্রিগোর নজরকাড়া গোলে। পরে বেনজেমা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। সেমি-ফাইনালে ওঠা অন্য তিন দল হলো- বার্সেলোনা, আথলেতিক বিলবাও ও ওসাসুনা। আগামী ৩০ জানুয়ারি ড্রয়ে নির্ধারিত হবে, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কে কার মুখোমুখি হবে।
এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে নিজেদের ভুলে শুরুতেই বিপদে পড়তে পারত অ্যাটলেটিকো। নবম মিনিটে ডি-বক্সে বেনজেমার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ভিনিসিউস শট নেওয়ার আগমুহ‚র্তে দারুণ ট্যাকলে দলকে বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডার রেইনিলদো। লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। ১৯তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে উঁচু করে ডি-বক্সে ক্রস বাড়ান কোকে, অপ্রস্তুত রিয়াল রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নাহুয়েল মোলিনা পাস দেন ছয় গজ বক্সে। তার দিকে গোলরক্ষক আগেই এগিয়ে যাওয়ায় ফাঁকা জালে বল পাঠান মোরাতা।
৫০তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান বেনজেমা, তবে সতীর্থের কাটব্যাক ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণেই নিতে পারেননি তিনি। দুই মিনিট পর ডান দিক থেকে টনি ক্রুসের ক্রসে ফেদে ভালভেরদের ব্যর্থ ব্যাকহিলের পর সুযোগ ছিল গোলমুখে ভিনিসিউস ও বেনজেমার সামনে। কেউই পারেননি কাজে লাগোতে। তবে ৫৭তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগটি তৈরি করেন সেই বেনজেমা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার জোরাল শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ফেরানোর পর ছয় গজ বক্সের মুখে বল পান ভিনিসিউস; কিন্তু শট নিতে দেরি করে ফেলেন তিনি। ১২ মিনিট পর বেনজেমার আরেকটি জোরাল শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।
৬৩তম মিনিটে অঁতোয়ান গ্রিজমানের বুলেট গতির ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। ৬৯তম মিনিটে ভালভেরদের বদলি নেমে ১০ মিনিট পর দারুণ গোলটি করেন রদ্রিগো। মদ্রিচের পাস ধরে অসাধারণ ড্রিবলে দুজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের আরও দুজনের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে পোস্ট ঘেঁষে গোলটি করেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ের নবম মিনিটে বড় ধাক্কাটা খায় অ্যাটলেটিকো। কামাভিঙ্গাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন মন্টেনেগ্রোর ডিফেন্ডার স্তেফান সাভিচ। একজন কমে যাওয়ায় রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে অ্যাটলেটিকো। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর গোল খেয়ে বসে তারা। ডান দিক থেকে মার্কো আসেনসিওর পাস বক্সের মাঝামাঝি পেয়ে শট নিতে পারেননি ভিনিসিউস, তার পায়ে লেগে বল চলে যায় বেনজেমার কাছে। অরক্ষিত ফরাসি ফরোয়ার্ড কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।
১১০তম মিনিটে নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কদিন আগে বার্সেলোনা থেকে অ্যাটলেটিকোয় আসা মেমফিস ডিপাই। কর্নার থেকে আসা বল গোলমুখে পেয়ে দুর্বল শট নেন তিনি, বল জমে যায় কোর্তোয়ার গøাভসে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আরেকটি একক নৈপুণ্যের গোলের দেখা মেলে। দানি সেবাইয়োসের পাস পেয়ে ডি-বক্সের লাইন ধরে আড়াআড়ি ছুটে এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে নিচু শটে জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিউস।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ