মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুখে ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগানকে কেন্দ্র করে আপত্তি রাজ্য বিজেপির। বাংলাদেশের ¯েøাগান কেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের মুখে, সে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, রাজ্যপালকে ভুল বুঝিয়ে তাকে দিয়ে ওই শব্দগুচ্ছ বলিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’দের পরামর্শে যে রাজ্যপাল ‘ভারত মাতার জয়’ বলবেন, সেই দাবিও করেন শুভেন্দু। গত বৃহস্পতিবার বাংলা ভাষায় ‘হাতেখড়ি’ ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের। সেই অনুষ্ঠানেই তার মুখে শোনা গেছে ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগান। রাজ্যপালের মুখে ওই ¯েøাগান শুনে শুভেন্দুর বক্তব্য, জয় বাংলা ভারতের ¯েøাগান নয়। রাজ্যপাল মহোদয়কে বোঝানো হয়েছে, জয় বাংলা ¯েøাগান মানে বাংলার জয়। তা তো নয়। রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ পর্ব শেষে রাজভবনের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দেন। তার পরে রাজ্যপালও কয়েকটি বাক্য বলেন বাংলায়। তিনি বলেন, আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালোবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালবাসি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আমার নায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ। এই ‘জয় বাংলা’ শব্দগুচ্ছতে আপত্তি বিজেপির। যদিও বাংলা ভাষায় ‘হাতেখড়ি’ নিয়ে বৃহস্পতিবার এমনিতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রাজ্যপাল। অনেকের মতে, রাজ্যপালের বক্তব্যে এই ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি সেই আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। গত বৃহস্পতিবার রাজভবনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন শুভেন্দু। তবে তিনি সেখানে যাননি। রাজভবনে অনুষ্ঠান যখন শেষ হয়, শুভেন্দু তখন মানিকতলায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সরস্বতী পূজায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, জয় বাংলা ¯েøাগান ভারতের নয়। ওটা বাংলাদেশের ‘জাতীয় ¯েøাগান’। শুভেন্দুর কথায়, এটা প্রথমে মুজিবুর রহমান, পরে তার কন্যা শেখ হাসিনা ব্যবহার করেন। এখন শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ তাদের সভা, সমিতি, মিটিং, মিছিলে এই ¯েøাগান দেয়। তারা সরকারি অনুষ্ঠানেও ওই ¯েøাগান দিয়ে থাকে। কিন্তু ভারত বা পশ্চিমবঙ্গে এই ¯েøাগান চলে না। রাজ্যপালকে দায়ী না করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপালকে বক্তৃতা লিখে দিয়েছে তার অফিস। এ ক্ষেত্রে রাজ্যপালের কোনো ভুল নেই। তাকে দিয়ে বলিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে এটা বুঝিয়ে দেবেন। আগামী দিনে রাজ্যপাল ভারত মাতার জয় বলবেন। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার কণ্ঠেও ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগান শোনা যায়। ২০২১ সালে বিধানসভার ভোটপ্রচারে গিয়ে তিনি এই ¯েøাগান দেওয়া শুরু করেন। সেই সময়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এ রাজ্যে নিয়মিত ভোটপ্রচারে আসতেন। তাদের ‘বহিরাগত’ বলার পাশাপাশি, মমতা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দেওয়া শুরু করেন। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত মমতা ও তার দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরাও এই ¯েøাগান দেন। আনন্দবাজার ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।