Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিপজ্জনক বাতাসে বসবাস

টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৩ এএম

ঢাকার বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়েই চলছে। দূষণের মাত্রা এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজধানীবাসী এখন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসে বসবাস করছেন। চলতি সপ্তাহে বায়ুদূষণে ষষ্ঠ দিনের মতো শীর্ষস্থানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩৭২ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা। গত বুধবার একই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৩১৯। বায়ু মানে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক বা দুর্যোগপূর্ণ বলে ধরা হয়।
গতকাল ২৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ এ শহর। আর একিউআই ২৪০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতোর। একিউআই স্কোর ২১৮ নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। একিউআই স্কোর ২০০ নিয়ে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই আছে পঞ্চম স্থানে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসপূর্ণ শহরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে আসছে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।
বায়ু পরিমাপের এ সূচকে স্কোর ১০১-২০০ এর মধ্যে থাকলে অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। আর স্কোর শ‚ন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে ভালো বলে ধরে হয়। ৫১-১০০ মোটামুটি, ১০১-১৫০ পর্যন্ত সতর্কতামূলক ও ২০১-৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০১ এর বেশি স্কোরকে বলা হয় বিপজ্জনক।
ঢাকার চারপাশে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হলেও এখনও অনেক ইটভাটা রয়েছে যারা কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করছে। আবার রাজধানীতে অবাধে চলছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি। এসব গাড়ির কালো ধোঁয়াও পরিবেশকে দূষিত করছে। এ ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুড়ি তো আছেই। কিন্তু ঢাকার বায়ু দূষণ প্রতিরোধে কেবলমাত্র রাস্তায় পানি ছিটানো ছাড়া আর কোনও কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, শুধু পানি ছিটিয়ে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বায়ু দূষণ এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। দূষণের ফলে বাড়ছে কিডনি, ফুসফুসের অসুখ। শুধু জনস্বাস্থ্য নয়, অর্থনৈতিক জায়গাও সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ বিনিয়োগকারীরা এমন দূষিত শহরে বিনিয়োগ করতে নাও চাইতে পারেন। একইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমাদের উন্নয়ন কাজও। তিনি বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। যেখানে স্বল্পমেয়াদি, মধ্য মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা থাকবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়াও জরুরি।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ