নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বরাবরই দারুণ ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান বাবর আজম। তাতে গতকাল দুপুরেই গতবছরের মতো এবারও পেয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারের সুসংবাদ। টানা দ্বিতীয় বছর এই স্বীকৃতি অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জ্যাম্পা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেই হোপ, ও জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাকে পেছনে ফেলেন বাবর। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তান অধিনায়ক বিকেলে পেলেন আরো বড় সংবাদ। গত বছর টেস্টেও খেলেন তিনি দুর্দান্ত, নিজেকে তুলে নেন নতুন উচ্চতায়। তিন সংস্করণেই আলো ছড়ানোর পুরস্কার হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। জিতেছেন মর্যাদার স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি। দুইবার করে এই পুরস্কার জেতা রিকি পন্টিং, মিচেল জনসন, বিরাট কোহলির সঙ্গী হওয়ার হাতছানি ছিল ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসের সামনে। তাকেসহ জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ও নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো স্বীকৃতিটি জিতে নেন বাবর।
২০২২ সালটা স্বপ্নের মতো কেটেছে বাবরের। তিন সংস্করণ মিলিয়ে গত বছর ৪৪ ম্যাচে ৫৪.১২ গড়ে ২ হাজার ৫৯৮ রান করেন তিনি। আর কোনো ব্যাটসম্যান ২ হাজার রানও করতে পারেননি। বছরে ৮টি সেঞ্চুরির সঙ্গে করেন ১৫টি ফিফটি। ৬টির বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কারও। সাদা বলের ক্রিকেটে তো বাবর আগে থেকেই দুর্দান্ত। গত বছরও রঙিন পোশাকে ধরে রাখেন তিনি ধারাবাহিকতা। ওয়ানডেতে ৯ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি ও পাঁচ ফিফটিতে ৮৪.৮৭ গড়ে করেন ৬৭৯ রান। নানন্দিক ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের জুলাই থেকে আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে বাবর। ২০২১ সালের পর ২০২২ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতেও বেশ ভালো ছিল বাবরের পারফরম্যান্স। ২৬ ম্যাচে ১২৩.৩২ স্ট্রাইক রেট ও ৩১.৯৫ গড়ে ৭৩৫ রান করেন তিনি। ৫ ফিফটির পাশাপাশি পান একটি সেঞ্চুরির দেখা। সবচেয়ে নজর কাড়া পারফরম্যান্স করেন বাবর সাদা পোশাকে। ৯ টেস্টে ৬৯.৬৪ গড়ে গত বছর তার রান ছিল সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৮৪। চারটি সেঞ্চুরির সঙ্গে করেন ৭টি ফিফটি। এর মধ্যে আছে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে প্রায় ১০ ঘণ্টা ব্যাট করে ১৯৬ রানের অসাধারণ ইনিংস।
বছর জুড়ে ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার পুরস্কার পেয়েছেন ন্যাট সিভার। ২০২২ সালের সেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘র্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট’ ট্রফি জিতেছেন ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। লড়াইয়ে হারিয়েছেন তিনি ভারতের স্মৃতি মান্ধানা, নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার ও অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনিকে। ২০২২ সালে ৩৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে তার রান ১ হাজার ৩৪৬। পেস বোলিংয়ে নেন ২২ উইকেট। বর্ষসেরা হওয়ার পথে সিভারকে এগিয়ে নিয়েছে মূলত তার ওয়ানডের পারফরম্যান্স। বছরের সেরা ওয়ানডে নারী ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। মেয়েদের এই সংস্করণের বর্ষসেরা একাদশেও জায়গা হয়েছে তার। গত বছর এই সংস্করণে ১৭ ম্যাচে ৫৯.৫০ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৩৩ রান করেন তিনি। ২ সেঞ্চুরির সঙ্গে পান পাঁচটি পঞ্চাশের স্বাদ। পাশাপাশি বল হাতে ১১ উইকেট নেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।
নিজের সেরাটা মেলে ধরেন সিভার বিশ্বকাপে। তার সেঞ্চুরি দুটিই আসে বিশ্ব মঞ্চে, চির প্রতিদ্ব›দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সঙ্গে এক ফিফটিতে বৈশ্বিক আসরে ৮ ইনিংসে ৭২.৬৬ গড়ে করেন ৪৩৬ রান। ক্যারিয়ার সেরা ১৪৮ রানের ইনিংসটি খেলেন গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে। ধুঁকতে থাকা দলকে একার লড়াইয়ে অবশ্য জেতাতে পারেননি তিনি। ২০২২ সালে দুই টেস্ট খেলে সিভারের রান একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে সর্বোচ্চ ২৪২ রান। উইকেট নেন তিনি পাঁচটি। টি-টোয়েন্টিতে ১৪ ম্যাচে ২৭১ রান করেন তিনি ২৭.১০ গড়ে।
এদিকে, নেপালের কিপার-ব্যাটসম্যান আসিফ শেখ পেয়েছেন ‘স্পিরিট অব দ্য ক্রিকেট’ পুরস্কার। নেপালের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন দৌড়ে রান নেওয়ার সময় বোলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাঝ ক্রিজে পড়ে যান, সহজ সুযোগ পেয়েও তাকে রানআউট করেননি আসিফ। সেটার স্বীকৃতিই পেলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।