নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে গেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে গড়া দল নিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জীর্ণ পরিসংখ্যান এবার বদলানোর ব্যাপারে আশাবাদী অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৪ আসরে অংশ নিয়ে ১৭ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে হারায় তারা। বাকি ১৫ ম্যাচে নেই কোনো জয়। সবশেষ তিন আসরে প্রতিবার খালি হাতেই ফিরেছেন সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলমরা। এবারের আসরেও বাংলাদেশের সামনে কঠিন পরীক্ষা। ‘এ’ গ্রæপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। শেষ দুই দলের বিপক্ষে জয়ের সুখস্মৃতি নেই বাংলাদেশের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই জয়ের পর সবশেষ ছয় ম্যাচে মিলেছে ¯্রফে হতাশা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম দেখায় হারালেও তাদের বিপক্ষে টানা ৯ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এত কঠিন গ্রæপে থেকেও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না নিগার, দেশ ছাড়ার আগে আশা প্রকাশ করেছেন ২-৩টি জয়ের। গতকাল আইসিসির মিডিয়া জোনে লেখা কলামে এমন আশার পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘দল হিসেবে আমাদের মূল শক্তি একতা। আমরা খুব ভারসাম্যপ‚র্ণ দল। আমাদের দলে অভিজ্ঞ ও নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দারুণ মিশ্রণ রয়েছে। আমাদের দল সব সময় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত। ব্যক্তিগত সামর্থ্যের বিচারে খেলোয়াড়দের নাম উল্লেখ করতে হলে বেশ কয়েকজন আছে। সালমা খাতুন খুব ভালো অলরাউন্ডার। নাহিদা আক্তার ও জাহানারা আলম আমাদের বোলিং আক্রমণের জন্য খুব গুরুত্বপ‚র্ণ।’
নিগারের দলে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা ৩ জন- দিশা বিশ্বাস, মারুফা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। এরই মধ্যে বড়দের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে মারুফার। ছোটদের বিশ্বকাপে সামর্থ্যরে ছাপ রেখেছেন স্বর্ণা। দিশাও করেছেন ম্যাচ জেতানো বোলিং। ওভারপ্রতি ¯্রফে ৪.৮৯ রান খরচায় পাঁচ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার মারুফার। এক ফিফটিতে ৫১ গড়ে ১৫৩ রান করেছেন স্বর্ণা। তার স্ট্রাইকরেট ১৫৭.৭৩! দিশা পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে আশাবাদী অধিনায়ক, ‘মারুফা আক্তারকে নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ওর। অন‚র্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ বোলিং করেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া তিন খেলোয়াড়ের একজন মারুফা। ওরা জাতীয় দলে কেমন পারফর্ম করে দেখতে মুখিয়ে আছি।’
আগেভাগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার প‚র্ণ ফায়দা নিতে চান নিগার, ‘এখন দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দিকে আমাদের মনোযোগ। কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব আমরা, সেগুলো কাজে লাগবে বলে আশা করছি। এর আগেও দুইবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছি। তাই আমাদের একটা ধারণা আছে সেখানে সবকিছু কেমন হতে পারে। আগের সফরগুলো থেকে আমরা জানি, ক্রিকেট খেলার জন্য দারুণ জায়গা দক্ষিণ আফ্রিকা। সবগুলো ভেন্যু দেখতে দারুণ। আশা করি ভালো ও বাউন্সি উইকেট পাব, যেখানে বল সুন্দরভাবে ব্যাটে আসবে। যেহেতু আমাদের গ্রæপে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী, আমরা সুযোগের খোঁজে থাকবো।’
আগামী ১২ ফেব্রæয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। মূল আসর শুরুর আগে ৩১ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রæয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি আনঅফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন নিগাররা। এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (৬ ফেব্রæয়ারি) ও ভারত (৮ ফেব্রæয়ারি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।