Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে বাড়ছে আফিম উৎপাদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৪ এএম

সামরিক শাসনের অধীনে আফিম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে মিয়ানমারে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক জান্তা। এরপরই দেশজুড়ে বাড়তে থাকে মাদক উৎপাদন। অথচ ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছরই আফিম উৎপাদন কমে আসছিল। জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ সংক্রান্ত সংস্থা ইউএনওডিসি’র বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। খবরে জানানো হয়, ২০২২ সালে মিয়ানমারে আফিম চাষ বেড়েছে ৩৩ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ৮৮ শতাংশ। গত বছর ৪০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আফিম চাষ হয়। এর সম্ভাব্য ফলন ৭৯০ মেট্রিক টন। আফিম উচ্চ আসক্তিযুক্ত মাদক, যা থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে হেরোইন তৈরি হয়। ইউনওডিসির রিজিওনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ জেরেমি ডগলাস বলেছেন, সামরিক বাহিনী মিয়ানমারে ক্ষমতা নেয়ার পর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও শাসন ব্যাহত হওয়ার কারণে আফিম চাষ বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় শানের সংঘাতপ্রবণ এলাকাসহ সীমান্তের অন্যান্য রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের আফিম চাষে ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। ইউএনওডিসি মিয়ানমারের কান্ট্রি ম্যানেজার বেনেডিক্ট হফম্যান মিয়ানমারে আফিম চাষ আরও স¤প্রসারণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেননা ২০২১ সালে সামরিক জান্তা ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় খাদ্য ও জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। থাইল্যান্ড, লাওস ও মিয়ানমার যেখানে মিলিত হয়েছে- এই জঙ্গল অঞ্চল গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এটি মাদক কারবারের জন্য লাভজনক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারে চলতি প্রবণতা বলে দিচ্ছে যে, অঞ্চলটি মাদকের বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হতে যাচ্ছে। মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন ঐতিহাসিকভাবে দেশটির অর্থনীতির অংশ। মিয়ানমার আফগানিস্তানের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী দেশ। এখানে বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ আফিম তৈরী হয়। ঔপনিবেশিক শাসনামলে আফিম শিল্প একটি একচেটিয়া কারবার ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ও বিদ্রোহী যোদ্ধারা বেআইনিভাবে এই আফিম উৎপাদনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সা¤প্রতিককালে ২০১৪ সালের পর থেকে পপি চাষে ভাটা পড়েছিল দেশটিতে। কিন্তু সামরিক শাসন আবার ফিরে আসায় আফিম উৎপাদনও বাড়তে শুরু করেছে। আল-জাজিরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ