মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লিতে বসে সরকার যতই বাগ-আড়ম্বর করুক, চীন সীমান্তে ভারতের অবস্থা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সেটাই প্রকাশ্যে এল লাদাখের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার রিপোর্টে। লে এবং লাদাখের পুলিশ সুপার পি ডি নিত্য লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা করেছেন দিল্লিতে। তার রিপোর্ট অনুযায়ী লাদাখ ফ্রন্টিয়ার এলাকায় এ মুহূর্তে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীরা বেশ ব্যাকফুটে।
পিডি নিত্যা তার রিপোর্টে জানিয়েছেন, লাদাখ ফ্রন্টিয়ারে মোট ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ভারত। ৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে ১৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট, ২৪ থেকে ৩২ এবং ৩৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে আর ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ন্ত্রণ নেই। এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলিতে ভারতের নিরাপত্তারক্ষী বা সাধারণ নাগরিক কেউই দীর্ঘদিন যেতে পারেননি। এর ফলে লাদাখের ফ্রন্টিয়ারে যে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে, তার একটা বড় অংশে এখন নিয়ন্ত্রণ নেই ভারতের।
লে ও লাদাখের পুলিশ কর্মকর্তার রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল চীন এই এলাকাগুলিতে এখনও পেট্রোলিং করছে। এবং দাবি করছে এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলি তাদের দখলে। যার ফলে ভারতের দখলে থাকা এলাকাগুলি বাফার জোনে পরিণত হচ্ছে। এমনকী, ওই বাফার জোনগুলিতেও আমাদের যেতে দেয়া হচ্ছে না। বস্তুত, চীন ধীরে ধীরে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ভারতের জমি গ্রাস করছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজের রিপোর্টে এ বিষয়ে সেনার এক কর্মকর্তার বক্তব্যও প্রকাশ করেছেন। যা আরও উদ্বেগজনক। ওই সেনা কর্মকর্তার নাকি তাকে বলেছেন, যদি ৪০০ মিটার জমি দিয়ে চীনা সেনাকে ৪ বছর শান্ত রাখা যায়, সেটা মোটেই লোকসানের চুক্তি নয়।
লাদাখের ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজের রিপোর্ট পেশ করেছেন দিল্লিতে দেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বার্ষিক সমাবেশে। তাতে আবার উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও। সেনা সূত্রে অবশ্য এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ভারত চীনের কাছে কোনও জমি হারায়নি। কিছু কিছু এলাকায় আলোচনার মাধ্যমে দুই শিবিরই পেট্রোলিং বন্ধ রেখেছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।