Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘুমালে এক দেশে থাকবে পা আর অন্য দেশে মাথা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

হোটেল আরবেজ ফ্রাঙ্কো-সুইচ। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ঠিক ওপরে তৈরি হোটেলটির অর্ধেক অংশ ফ্রান্সে এবং বাকি অর্ধেক সুইজারল্যান্ডে। ইউরোপের এ ছোট একটা হোটেল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বে। এখানে একই সময় ভিন্ন দুটি দেশে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা দেবে। বিশ্বে এমন অনেক সীমান্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে দুই দেশের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে মানুষ এক দেশে কাজে যান এবং অন্য দেশে ঘুমাতে। এমনও রয়েছে যেখানে রান্নাঘর এক দেশে এবং শোয়ার ঘর অন্য দেশে। কিন্তু একসঙ্গে দু’দেশে থাকার অভিজ্ঞতা দেবে বিশ্বে হোটেল আরবেজ ছাড়া দ্বিতীয়টি আছে বলে কারও জানা নেই। একটি ছোট্ট পরিবার এই হোটেলটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে, এই হোটেলের পেছনে ১৮৬২ সালের ইতিহাস রয়েছে। ড্যাপেসের চুক্তির কারণে এই হোটেল তৈরি করা হয়। ওই চুক্তি অনুসারে, নিকটবর্তী রাস্তায় ফরাসি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা ছোট অঞ্চল অদলবদল করতে সম্মত হয়েছিল ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ড। চুক্তি অনুসারে, ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তে যেকোনো ইমারতকে অক্ষত রাখার জন্য নিয়মও বলবৎ করা হয়েছিল। কিন্তু এই হোটেল আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত লা কিওর নামের একটি ছোট গ্রামে অবস্থিত এই হোটেল আরবেজ। ১৯২১ সালে খোলা হয় এটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এই হোটেলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। জার্মানদের ফ্রান্স দখলের সময় হোটেলের সুইজারল্যান্ডের অংশে আশ্রয় নিয়েছিল ফরাসিরা। হোটেলের ডান দিক হলো সুইজারল্যান্ড এবং বাঁ দিকে ফ্রান্স। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড সীমান্ত হোটেলের একটি ঘরের বিছানা এবং বাথরুমের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে। ওই নির্দিষ্ট ঘরে যদি কোনো ব্যক্তি ঘুমাতে যান, তাহলে তার সুইজারল্যান্ডে মাথা এবং ফ্রান্সে পা থাকবে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ