Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন কারিকুলামে ভুলে ভরা বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক দিয়ে শিক্ষা নয় বাজেয়াপ্ত করে জাতিকে মুক্তি দিন: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:৪১ পিএম

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির শীর্ষ ব্যক্তিরা অযোগ্যদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা খাতকে শোচনীয় অবস্থায় নিয়ে গিয়ে গেছেন অভিযোগ করে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের বিতর্কিত মতবাদ, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদ, হাজার হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, নগ্ন ও অশ্লীল ছবি যুক্ত করা এবং বাংলাদেশের কৃষ্টিকালচার বিরোধী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপদগামী করার চেষ্টা করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, স্বাধীন স্বার্বভৌম ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বিতর্কিত এই পাঠ্যপুস্তক দিয়ে পাঠদান অব্যাহত থাকুক তা দেশের জনগণ চায়না। এ পরিস্থিতিতে বিতর্ক সৃষ্টিকরা পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশবাসী আশাকরে সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, কে বা কারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় বসে ভারতের বিজেপিপন্থি লেখকদের দাবি করা তথ্য পাঠ্য বইয়ে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ক্লাস সিক্সের বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ্য বইয়ের ১১তম অধ্যায়ের ‘মানব শরীর’ শিরোনাম অংশে কিশোর-কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালে তাদের শরীরের নানা অঙ্গের যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে প্রকাশ্যে তা পড়ার/ পড়ানোর উপযোগী নয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কিংবা বাসাবাড়িতে অভিভাবকদের সামনেও এই বর্ণনা প্রকাশ করার মতো নয়। বইয়ের ১১৯ থেকে ১২২ পৃষ্ঠায় কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধি অধ্যায় যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তা চটি বইয়ের রগরগে রসালো রীতিমতো গল্পকে হার মানাবে।
বইটির ১২০ পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তনের বিশদ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের গলার স্বর ও বিভিন্ন অঙ্গের পরিবর্তন হতে থাকে। বিশেষ করে এক জায়গায় বলা হয়েছে পেশি সুগঠিত হওয়ার পাশাপাশি ছেলেদের শিশ্ন (পেনিস) ও অণ্ডকোষ এই সময়ে আকৃতিতে বড় হতে থাকে। এই বৃদ্ধি ঘটতে থাকে ৩০ বছর পর্যন্ত। এ ছাড়া পেনিসে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন বৃদ্ধি হতে থাকলে ছেলেদের পেনিস সময়ে সময়ে দৃঢ়তা বা শক্ত হয়ে ওঠে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছেলেদের পেনিসে ও অণ্ডকোষে শুক্রানো তৈরি হয় এবং তা অণ্ডকোষে জমা হতে থাকে। বইটির ১২১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ছেলেদের বয়ঃসন্ধিতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোম বা পশম গজাতে থাকে। প্রথমে পেনিসের গোড়ার দিকে লোম গজালেও পরে এই লোম আস্তে আস্তে পেনিসের উপরের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ