কিলিয়ান এমবাপেকে লম্বা সময় ধরে দলে রাখতে সম্প্রতিক সময়ে পিএসজি সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করে গেছে।চুক্তিতে এই তারকা ফরাসি ফরোয়ার্ডকে দেওয়া হয়েছে তার চাহিদা মত সব ধরনের সুযোগ সুবিধা।এমনকি নেইমারের সাথে তার বিরোধের সময়টাতেও ক্লাবের কর্তৃপক্ষের কেউ তাকে কিছু বলার সাহস করেনি।
কেন দলে নিজের গুরুত্ব এত বেশি সেটি আরেকবার প্রমাণ করলেন কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট বিজয়ী এই তারকা।গতকাল ফরাসি কাপের ম্যাচে নিচু সারির ক্লাব পি দে কেসেলকে কিলিয়ান এমবাপে একাই করলেন পাঁচ গোল!পিএসজির ইতিহাসে তার আগে কেউ এক ম্যাচ এত গোলের কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেননি।
এমবাপের অনন্য রেকর্ডের রাতে ফ্রান্স ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার শেষ বত্রিশে ৭-০ গোলে বড় জয় পেয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। লিওনেল মেসির ছাড়া খেলতে নামা দলটির অন্য দুটি গোল করেন নেইমার ও কার্লোস সলের।
শুরু থেকেই ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল পিএসজি। প্রথমার্ধেই চারবার জালে বল পাঠিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় তারা। প্রথম গোলের দেখা মেলে ২৯তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্দেসের পাস পেয়ে বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এমবাপে।
৩৪তম মিনিটে দানিলো পেরেইরার থ্রু বল ধরে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে জালে বল পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড। এই দুই গোলের মাঝে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। এখানেও জড়িয়ে এমবাপের নাম। তার বাড়ানো বল ডি-বক্সের মুখে পেয়ে ফিরতি পাস দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর এমবাপে আবার ফিরতি পাস দেন, আর বল ধরে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন নেইমার।
এমবাপের হ্যাটট্রিক পূরণ হয় ম্যাচের ৪০তম মিনিটে। বিরতির পরও প্রত্যাশিতভাবেই একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে পিএসজি। এই অর্ধে গোলের দেখা মেলে আরও আগে। ৫৬তম মিনিটে ডিফেন্ডারদের ওপর দিয়ে ডি-বক্সে থ্রু বল বাড়ান নেইমার,গোলরক্ষক এগিয়ে গিয়ে ধরতে ব্যর্থ হন। বিনা বাধায় নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে।
৬৪তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ে। বাঁ দিক দিয়ে নেইমারের বাড়ান বলে অনায়াসে ডান পায়ের ব্যাকহিলে জালে পাঠান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। ৭৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে সলেরের পাস ধরে শেষ গোলটি করেন এমবাপে। বাকি সময়েও তারা তৈরি করে অসংখ্য সুযোগ, তবে ব্যবধান আর বাড়েনি।