Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

’৫০ সালের মধ্যে রোবট বিয়ে বৈধতার সম্ভাবনা

| প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ২০৫০ সালের মধ্যে রোবট বিবাহ বৈধ হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা ভবিষ্যৎ বাণী করছেন রোবটের সাথে প্রেম করতে পারবে মানুষ! এমনকি চাইলে স্থাপন করতে পারে যৌন সম্পর্কও! সম্প্রতি হলিউডের দুটি সিনেমায় দেখা গেছে এমনই ঘটনা। হার এবং এক্স মেশিন নামের ছবি দুটিতে প্রেম হয়েছে মানুষে রোবটে। যৌন সম্পর্কেও জড়িয়েছে তারা। তবে এটিই প্রথম নয়, গ্রিক রূপকথায়ও আছে এমন কল্প কাহিনী। সেখানেও দেখা যায়, সাইপ্রাস দ্বীপের ভাস্কর পিগম্যালিয়ন তার নিজের তৈরি করা একটি মূর্তির প্রেমে পড়ে যায়। তবে এবার সিনেমার এসব কল্পকাহিনী আর রূপকথাই কি সত্য হতে চলেছে? খুব শীঘ্রই কি পাওয়া যাবে ভালোবাসার রোবটকে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ ডেভিড লেভি তার লাভ অ্যান্ড সেক্স উইদ রোবটস বইতে লিখেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যেই বিয়ে করার উপযোগী রোবট তৈরি করা সম্ভব হবে। তার কথার ওপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে, যৌনতা বিষয়ক নতুন একটি বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে আমরা। যদিও বাস্তবতা একটু ভিন্ন। ব্যাপারটিকে যতটা সহজ ভাবা হয়, আসলে ততটা সহজ নয়। এ বিষয়ে গবেষণা যতই এগোচ্ছে, বিষয়টি ততই জটিল হয়ে যাচ্ছে। একদিকে তাদের অনুভূতিশীল করা যেমন কঠিন গবেষণার বিষয়, অপরদিকে এ খাতে বিনিয়োগে জটিলতা দূর করা আরো কঠিন। এর আগে বোঝা দরকার সেক্স রোবট বলতে আসলে কী বোঝায়। সেক্স রোবট হচ্ছে এমন রোবট যার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব। এর ভেতর এমন ধরনের ডিভাইস স্থাপন করা আছে যার মাধ্যমে রোবটটি তার সঙ্গীর মধ্যে সত্যিকারের যৌন অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন সম্পর্ক বিষয়ক গবেষক শেলি রোনেন জানান, রোবটটি যাতে মানুষের মধ্যে যৌন অনুভূতিশীল সৃষ্টি করতে পারে তার জন্য অনেক কিছুই ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে হয়তো তাদের সাথে যৌন সম্পর্কও স্থাপন করা যেতে পারে। এসব আবিষ্কারের অনেক কিছুই সফলভাবে কাজ লাগানো গেছে আবার অনেক কিছুই যায়নি। ২০০৯ সালে রিয়েল টাচ নামের একটি ডিভাইস বাজারে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। যন্ত্রটির মাধ্যমে মানুষের সংবেদনকে জাগিয়ে তোলা যায়। এটি এক ধরনের ভার্চুয়াল যন্ত্র হলেও এর মাধ্যমে মানুষ সত্যিকারের অনুভূতি পেতে পারে। তবে যন্ত্রটির বিরুদ্ধে স্বত্ব সম্পর্কিত এক মামলার কারণে ২০১৩ সালে এটি বাজার থেকে তুলে নেয়া হয়। মানুষের যৌন অনুভূতি সম্পর্কিত এ ধরনের কিছু যন্ত্র আবিষ্কৃত হলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কোনো রোবট তৈরি সম্ভব হয়নি। মানুষের ধারণা, সেক্স রোবট হবে এমন এক ধরনের রোবট যা দেখতে হবে মানুষের মতো, থাকবে যৌন সক্ষমতা এবং চিন্তা করার মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এখন পর্যন্ত এ বাজারে ধরনের কিছু পুতুল পাওয়া যায়। এগুলো তৈরি করে ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক কোম্পানি অ্যাবাইস ক্রিয়েশনস। পুতুলগুলোকে বলা হয় ‘রিয়েল ডল’। মানুষের মতো করেই তৈরি করা হয়েছে রিয়েল ডলদের। এসব পুতুলের জন্য আছে আলাদা চিকিৎসক। যাদের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত পুতুল মেরামত করা। তবে এগুলো খুবই ব্যয়বহুল। একেকটির দাম পাঁচ থেকে ১০ হাজার ডলারের মতো। কোয়ার্টেজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ