গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সুইডেনের উগ্র ডানপন্থী দলের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান গত ২১ জানুয়ারি স্টকহোমে তুর্কী দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। সে সময়ে তার দলের প্রায় ১০০জন সমর্থক ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে প্রতিরক্ষা দেয়। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মহাগ্রন্থ আল কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রেরিত শেষ আসমানী গ্রন্থ। মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপর এই গ্রন্থ নাযিল হয়। এই গ্রন্থ বিশ্বমুসলিমের কাছে সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ। কোটি কোটি হাফেজে কোরআন এই গ্রন্থ মুখস্ত করে তাঁদের হৃদয়ে ধারণ করেন। মুসলমানদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এই পবিত্র গ্রন্থের বিধান মেনেই পরিচালিত হয়। অথচ এক বর্ণবাদী ও ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিকে পবিত্র কোরআন পোড়ানো অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার চরম গর্হিত কাজ করেছে। মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এমন ইসলাম বিরোধী কাজের অনুমতি কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। এটি মুসলমানদের নিশানা ও পবিত্র মূল্যবোধের চরম অবমাননা। অবিলম্বে সুইডেন সরকারকে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিতর্কিত ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হবে। নতুবা মুসলিম বিশ্ব সুইডেনকে চিরতরে বয়কট করবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঃ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদিস গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম এক বিবৃতিতে বলেন, সুইডেনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে চরম আঘাত হানা হয়েছে। সইডেন সরকার ইসলাম ও পবিত্র কোরআনের দুশমন কুলাঙ্গারদের প্রশ্রয় দিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। তিনি ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক সুইডেন সরকারের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।