মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আদর্শ বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসন বোঝাতে অনেক সময়ই ভারতে ‘রাম রাজ্য’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়। তবে সেই ‘রাম রাজ্য’ মোটেও আদর্শ ছিল না বলে দাবি করেছেন কর্ণাটকের প্রসিদ্ধ লেখক তথা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কেএস ভগবান। ভগবান আরো দাবি করেন যে, ভগবান রাম সন্ধ্যায় স্ত্রী সীতার সঙ্গে বসে সুরা পান করতেন। লেখকের এহেন মন্তব্যে ইতোমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কর্ণাটকের মাÐ্যয় একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ মন্তব্য করেন লেখক কেএস ভগবান। এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই দাবি করে থাকেন, রাম অযোধ্যায় ১১ হাজার বছর ধরে রাজত্ব করেছিলেন। তবে এ দাবি ‘অসম্ভব’ বলে দাবি করেন লেখক।
কেএস ভগবান বলেন, ‘ভগবান রামকে কখনই আদর্শ বলা যায় না। রাম সন্ধ্যাবেলা তার স্ত্রীর সঙ্গে বসে সুরা পান করতেন। দিনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি মদ্যপান করে কাটাতেন। তিনি তার স্ত্রীকে বনবাসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর তা নিয়ে তার মনে কোনো আক্ষেপও ছিল না। গাছের ছায়ায় বসে তপস্যা করছিলেন শম্ভুকা। তিনি একজন শুদ্র ছিলেন। রাম তার শিরোñেদ করেছিলেন। এইরকম একজন মানুষ কীভাবে কারো আদর্শ হতে পারেন’? তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি বাল্মিকীর রামায়ণের উত্তরা খÐটি ভালো করে পড়ি, তাহলেই জানতে পারব যে, ১১ হাজার বছর নয় (হিন্দুদের অনেকের বিশ্বাস), রাম অযোধ্যায় রাজত্ব করেছিলেন মাত্র ১১ বছর এবং রামায়ণের এই অংশ থেকেই প্রমাণিত হয়ে যায় যে, রাম কখনই একজন আদর্শ পুরুষ হতে পারেন না’।
প্রসঙ্গত, রামের সুরা পান নিয়ে আগেও মন্তব্য করেছিলেন কেএস ভগবান। ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘রাম যে শুধুমাত্র নিজে মদ্যপান করতেন তাই নয়, নিজের স্ত্রীকেও তিনি সুরা পানে বাধ্য করতেন’। সেই সময় কেএস ভগবানের বাড়ির সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। তবে এরপরও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন কন্নড় লেখক। প্রফেসর এমএম কালবুর্গীর খুনের পর তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে ২০১৫ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে কেএস ভগবান বলেছিলেন, ‘আমি একটাই কথা বলতে চাই, যারা অধ্যাপক কালবুর্গী, গোবিন্দ পানসারে এবং নরেন্দ্র দাভোলকরকে হত্যা করেছে এবং এখন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে: আপনি আমাদের আক্রমণ করতে পারেন এবং আমাদের টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারেন কিন্তু আমাদের কাজ চলবে। তারা আমাকে মেরে ফেলতে পারে, কিন্তু তাতে আমার অবস্থান পরিবর্তন হবে না’। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।