নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেই মোহাম্মদ রিজওয়ান হয়ে উঠেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকেই রাখছেন নিজেকে। এবার বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে এসেছেন এই পাকিস্তানি উইকেটকিপার-ব্যাটার। এরই মধ্যে খেলে ফেলেছেন চট্টগ্রাম পর্বের চার ম্যাচ। তার ব্যাট থেকে এসেছে এক ফিফটি। নিজের ঘরানা অনুযায়ী প্রান্ত ধরে রাখার কাজটা করে যাচ্ছেন এই ডানহাতি। স্ট্রাইকরেট কম থাকলেও এক পাশে টিকে থাকার ভূমিকা পালন করছেন। এবার পরীক্ষা মিরপুরের স্লো উইকেটে। তবে দলে লিটন দাসের মতো ক্রিকেটারের উপস্থিতি সেই চাপ অকেনটাই করে যাবে বলে মনে করেন এই হোম অব ক্রিকেটে অনেক ম্যাচ খেলা এই তারকা।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রান সংগ্রাহকের তালিকায় বিশ্বে দুই নম্বরে ছিলেন লিটন, তার দুই ধাপ পেছনে চারে থেকে বছর শেষ করেন রিজওয়ান। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অন্যতম সেরা দুই ওপেনারকে এবার একসঙ্গে পেয়েছে কুমিল্লা। ওপেনিংয়ে লিটন-রিজওয়ানের জুটিও বেশ জমছে। এবার বিপিএলে শুরু থেকে ছিলেন না রিজওয়ান। আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা পার করে তিনি যখন দলে যোগ দেন তখন দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছে তার। এরপরে লিটনের সঙ্গে তার চার ম্যাচের জুটিতে তিনটিতেই ভালো শুরু পায় কুমিল্লা।
রিজওয়ানের প্রথম ম্যাচে লিটনের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৩ বলে ৪২ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের রাতে করাচিতে ওয়ানডে খেলে আসার পর হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে গিয়ে রিজওয়ান করেন ১১ বলে ১৮। ওই ম্যাচে রান আউটে থামার আগে ২৬ বলে ৩২ আসে লিটনের ব্যাটে। পরের ম্যাচে রান তাড়ায় উত্তাল শুরু আনেন লিটন। ২২ বলে ৪০ রান করে তিনি হন ম্যাচ সেরা। উদ্বোধনী জুটিতে রিজওয়ানের সঙ্গে আসে ৩৫ বলে ৫৬ রান। লিটন আউট হয়ে ফেরার পর রিজওয়ান করেন ৩৫ বলে অপরাজিত ৩৭ রান। সিলেট স্টাইকার্সের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৭.১ ওভারে ৫৭ রানের আরেকটি জুটি আনেন তারা। যাতে রিজওয়ানের অবদান ১৮ বলে ১৫। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে সেদিন ৪২ বলে ৭০ করেন লিটন। ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে দ্বিতীয় বলেই লিটন ০ রানে বিদায় নিলে প্রথমবার ব্যর্থ হয় তাদের জুটি। রিজওয়ান অবশ্য সেই ম্যাচেই তুলেন টুর্নামেন্টে তার প্রথম ফিফটি। যদিও খুশদিল শাহ ২৪ বলে ৬৪ রানেই মূলত বড় রানে চড়ে কুমিল্লা।
প্রতি ম্যাচেই আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে লিটনই রিজওয়ানের কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন। নিজের ধরণ অনুযায়ী তাই সময় নিয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন পাকিস্তানি ব্যাটার। মিরপুর পর্ব শুরু হবার আগে গতকাল একাডেমি মাঠে দলের অনুশীলনের ফাঁকে রিজওয়ান জানান তিনি ও লিটন মিলে বাকিদের কাজটা সহজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, ‘সবাই জানে লিটন দাস বাংলাদেশের সুপারস্টার। বাংলাদেশের হয়ে গত কয়েক বছর ও অনেক ভালো খেলছে। এখন অনেক ভালো ফর্মে আছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আর লিটন চেষ্টা করছি যোগাযোগের ভিত্তিতে অল্প সময়ে কাজটা করার। আমরা চেষ্টা করছি দলের অন্যদের কাজ সহজ করে দেওয়ার।’
রিজওয়ান নিজেও বাংলাদেশের বেশ চেনা মুখ। অনেক করুনই তার ভক্ত, তাকে আদর্শও মানেন অনেক উইকেটকিপার-ব্যাটার হওয়ার স্বপ্ন বুকে লালন করা এদেশের তরুনরা। এরকম একজনকে কাছে পেলে তরুণদেরও অনেক কিছু শেখার থাকে। রিজওয়ান নিজেও জানালেন, বাংলাদেশের তরুণরা শেখার জন্য থাকেন উদগ্রীব। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে বেশ মনে ধরেছে তার।
অনুশীলনের আগে জানালেন, কুমিল্লার ক্যাম্পে থাকা স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটাররা তাকে করছেন মুগ্ধ। বিপিএলে তাদের দেখে বাংলাদেশের আগামী বেশ উজ্জ্বল মনে হচ্ছে তার, ‘বাংলাদেশের ছেলেরা সবার কাছ থেকে শেখার জন্য মুখিয়ে থাকে। আমি অনেককে দেখছি। আমি অনেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে হাইলি রেট করতে চাই। সে অনেক ভালো। দলের আরও অনেকে আছে।’ এবার বিপিএলে সবগুলো দলেই পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আধিক্য। অন্য দলে থাকা স্বদেশীদের কাছ থেকেও বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাওয়ার কথা জানালেন রিজওয়ান, ‘তারা শুধু আমার কাছ থেকে নয়, সবার কাছ থেকেই শিখতে চায়। আমরা পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা করি। বাকিরাও বলে- বাংলাদেশে সবাই আমাদের কাছে আসে, এটা-ওটা প্রশ্ন করে, চাপ সামলানোর বা এসব নিয়ে জানতে চায়। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে শেয়ার করি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।