Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বলিভিয়ার লিথিয়াম শিল্পের বিকাশে কাজ করবে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিথিয়াম উৎপাদনকারী দেশ অস্ট্রেলিয়া ও চিলি। পাশাপাশি বলিভিয়ায়ও ধাতুটির অনেক বেশি মজুদ রয়েছে লবণে ঢাকা পতোসি ও ওরুরো শহরে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ধাতুটির মোট মজুদ রয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ টনের। কিন্তু প্রযুক্তিগত বাধা এবং অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে সেখানে ধাতুটির উত্তোলন বেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সে কাজেই এখন সহায়তা করবে চীন। খবর বিবিসি। লম্বা নিলাম শেষে বলিভিয়ার বিপুল পরিমাণ লিথিয়াম মজুদ উত্তোলনে সহায়তা করার সুযোগ পেয়েছে চীনা ব্যাটারি কোম্পানি জায়ান্ট সিএটিএল। বিভিন্ন বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনের ব্যাটারিতে এ অতি হালকা ধাতুটি ব্যবহার করা হয়। জীবাশ্ম জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এর উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স বলেন, সিএটিএলের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম বলিভিয়ায় লিথিয়ামের শিল্পায়নের এ ‘ঐতিহাসিক’ শুরুটা করতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে এ প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা হবে বলেই জানান তিনি। এ অর্থ দিয়ে বিভিন্ন অবকাঠামো, পথ এবং সেই ধরনের অবস্থা তৈরি করা হবে, যা ভবিষ্যতে প্লান্ট তৈরির ক্ষেত্রে কাজে দেবে। আর্স বলেন, বলিভিয়া এখনো অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্ভাব্য অংশীদারত্বের বিষয়ে আলোচনা করছে। রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান লাইলাক সলিউশন, রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ওয়ান গ্রুপ এবং নিলামে অংশ নেয়া আরো তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠান। আর্স বলেন, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যেই লিথিয়াম ব্যাটারি রফতানি করাই এখন মূল লক্ষ্য। আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া ও চিলির মধ্যে লবণে ঢাকা বিস্তৃত ভূমি বা স্যালারস রয়েছে, এ তিনটিকে বলা হয় ‘লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেল’। বিশ্বের মোট লিথিয়াম মজুদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি রয়েছে এখানে। বিশালাকার বাষ্পীভবন পুলের মাধ্যমে এসব ভূমির নিচ থেকে লবণে ভরপুর পানি পাম্প করে তোলা হয়। এ প্রক্রিয়া সম্পন্নের সময় পেছনে পড়ে থাকে লিথিয়াম কার্বোনেট। কিন্তু লিথিয়াম মাইনিংয়ের ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতা প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ। এ কারণেই মূলত দূষণ এবং বাণিজ্যিক কার্যকারিতার ভাবনা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ