নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ সেই ২০১৮ জানুয়ারিতে খেলেছিলেন নাসির হোসেন। এরপর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবেচনার বাইরেই আছেন এ অলরাউন্ডার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আবার নজরে এসেছেন তিনি। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে এবার ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে খেলছেন নাসির। দলটির অধিনায়কও তিনি। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। এখন পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করে ৭১.৬৬ গড়ে করেছেন ২১৫ রান। তারচেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল সাকিব আল হাসানই (২৪৫ রান)।
তবে মূল আলোচনা তার ধারাবাহিকতা নিয়ে। প্রতি ম্যাচেই ত্রিশের বেশি রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। পাশাপাশি বল হাতেও দারুণ করছেন। তবে দল হিসেবে ভালো খেলতে পারছে না নাসিরের ঢাকা। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে তারা। যে একটি জয় মিলেছে তাও এসেছে ওই নাসিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হার না মানা ৩৬ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। দলের ফলাফল যেমনই হোক প্রতি ম্যাচেই উজ্জ্বল নাসির। আর এভাবে খেললে জাতীয় দলে ফেরার বিবেচনায় থাকবেন বলেই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, ‘নাসির অনেক দিন পর এসেছে। খেলছে। ভালো খেলছে। ওকে আগে খেলতে দেন। থিতু হতে হবে একজন খেলোয়াড়কে। অনেক দিন পর এসে পারফর্ম করা বিরাট ব্যাপার একজন খেলোয়াড়ের জন্য। ফিরে এসেছে সে। ধারাবাহিকভাবে এই প্রসেসে থাকলে অবশ্যই চিন্তা করা হবে।’
শুধু প্রধান নির্বাচকই নন, বিপিএলের প্রতিপক্ষ দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের প্রশংসাপত্রও এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন ডক্রকেটের এই ‘ব্যাডবয়’। এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই উইকেটের প্রশংসা হচ্ছে। সাধারণত শুধু চট্টগ্রামে রানের দেখা মিললেও মিরপুরেও ছিল ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। এমন উইকেটে স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের রান পাওয়ার সুযোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। যে ক’জন পেরেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখ করার মতো কেবল সাকিব আর এই নাসিরই। সে কারণেই মূলত নাসিরকে জাতীয় দলে ফেরানো যেতে পারে বলে মত সাকিব, তামিম, মুশফিকদের এই গুরুর, ‘নাসিরের ব্যটিং এখন খুবই পরিণত। সে অনেক দিন পর হয়তো বিপিএল খেলছে, দিন দিন মনে হচ্ছে সে একটু একটু করে ফিট হচ্ছে। যদি আরেকটু ফিট হয়, তাহলে আমার মনে হয় ও প্রত্যাবর্তন (জাতীয় দলে) করার মতো অবস্থানে চলে যাবে। কারণ, নাসিরকে আমি বাংলাদেশের কয়েকটা মেধাবী ছেলের একজন হিসেবে দেখি। মাথা সব সময় কাজ করে। তার ফিরে আসা সম্ভব। বাকিটা তার ওপরে।’
এটা তিনি বলেছেন কুমিল্লার বিপক্ষে নাসিরের লড়াকু ব্যাটিং মনোভাব দেখেই। তবে পরশু রাতে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচও তার ঢাকা খেলেছে আরেক শক্তিশালী দল সাকিবের বরিলালের বিপক্ষে। তাদের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেট হারানো ঢাকা শেষ পর্যন্ত ১৬০ তুলতে পারে কেবল এই নাসিরেরই ৩৬ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে এক সময়ে নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন নাসির। ২০১১ সালে অভিষেকের পর তিন সংস্করণ মিলিয়ে খেলেছেন ১১৫টি ম্যাচ। এরমধ্যে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে ২০১৮ সালের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার পর বাদ পড়ে যান। অফফর্মের পাশাপাশি মাঠের বাইরে বাইরে নানা বিতর্কিত কা-ে তাকে আর বিবেচনাই করা হয়নি। সামনেই আরেকটি ওয়ানডে বিশ^কাপ, সেটিও উপমহাদেশের মাটি- ভারতে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকলেও মিডলঅর্ডারে এমন আরেকজন স্পিন অলরাউন্ড পারফরমারের খোঁজে বেশ অনেকদিন ধরেই বিসিবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।