Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চীনে সরানো হলো বিশাল খরগোশ লণ্ঠন

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশালাকৃতির এক খরগোশ লণ্ঠন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা লণ্ঠনটিকে খুবই কদাকার বলে সমালোচনা করার পর এটি ভাঙা হল। চীনের নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে চংকিং নগরীর সাংসিয়া স্কয়ারে লণ্ঠনটি বসানো ছিল। খরগোশটির ভুরু ছিল মোটা। দেখতে ছিল অনেকটা গুরুগম্ভীর মুখের এক মানুষের মতো। “এমন চেহারার খরগোশ কি কোনও উৎসবের সঙ্গে মানানসই?”, মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাটে এমন প্রশ্ন রাখের এক ব্যবহারকারী। বিবিসি জানায়, চীনের রাশিচক্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালটি খরগোশের বছর। সাংসিয়া স্কয়ার কমার্শিয়াল ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি স্থানীয় গণমাধ্যম হংসিন নিউজকে বলেছে, “ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বলছেন, ওই স্কয়ারে খরগোশ লণ্ঠন খুবই বিব্রতকর। অভিযোগের পর এটা হটিয়ে দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া গেল।” তবে উইচ্যাটে অনেকে খরগোশ লণ্ঠনটি নিয়ে আপত্তি করলেও কেউ কেউ আবার বলেছেন, এটি সরিয়ে ফেলাটা জরুরি ছিল না। এটি ঐতিহ্যবাহী খরগোশের মতোই দেখতে ছিল। চীনা ঐতিহ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ১২টি প্রাণীর কোনো একটিকে বেছে নেওয়া হয়। খরগোশ হচ্ছে এর মধ্যে চতুর্থ প্রাণী। চীনে আনন্দ-উৎসব এবং আতশবাজির মধ্যে দিয়ে স্বগত জানানো হয় ‘দ্য ইয়ার অফ দ্য র‌্যাবিটকে’। চীনা সংস্কৃতিতে খরগোশ উদারতা, শান্ত-প্রকৃতি, সদ্ব্যবহার, বিচক্ষণতা, সংবেদশীলতা এবং সৌন্দর্য্যের প্রতীক। বসন্ত উৎসবের সময় খরগোশের লণ্ঠন দেশটিতে খুবই অর্থবহ, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। ২০২৩ সালের পর চীনে বছর ঘুরে খরগোশ আবার গুরুত্ব পাবে ২০৩৫ এবং ২০৪৭ সালে। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ