বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এ.টি.এম. রফিক/আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে: নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাবেদ আলী বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে আইনী বাধ্যবাধকতা মেনে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। শান্তিপূর্ণ ও মডেল নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গতকাল সকালে খুলনা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ উপলক্ষে বিভাগীয় প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ও পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন।
মতবিনিময়কালে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান বলেছেন, প্রথম পর্যায়ে খুলনা বিভাগের ২৫২টি ইউনিয়নের এক হাজার ৬০৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮০০টি সাধারণ কেন্দ্র; বাকিগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দলীয় প্রতীক ও ব্যানারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় বেশকিছু ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ ওরা শুধু ভোট দিতে আসে না, সাথে সবকিছুই নিয়ে আসেন। সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দুর্গম এলাকাগুলোতে আমরা বিশেষ নজরদারী রাখবো।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের পাশের এলাকা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের ইউনিয়নগুলোতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। এসব দুর্গম এলাকায় নির্বাচনীয় সামগ্রী নিরাপদে পরিবহনের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। খুলনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সংকট রয়েছে। মাত্র ৪জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রয়েছেন। খুলনার ৬৭টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সংকট নিরসনে প্রশিক্ষণরতদের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে ইউনিয়নগুলোতে দায়িত্ব পালনে পাঠাতে হতে পারে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, দুর্গম এলাকা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। খুলনাতে সরকার ও বিরোধী দলসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিছু কিছু ঘটনা নিরসন হলেও, মনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই আমরা সর্তক রয়েছি।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ জাবেদ আলী বলেন, নির্বাচন কমিশনের মূল কাজ হচ্ছে আইন ও বিধি মোতাবেক নির্বাচন করা। সকলের সহযোগিতায় যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম নির্বাচন কমিশন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার চেয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা কোন অংশে কম নয়। ইউপি নির্বাচন হচ্ছে সবচেয়ে রুট লেভেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। ইউনিয়নকে শক্তিশালী করতে হবে এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মকা- জোরদার করতে হবে। দলীয়ভাবে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কোন নতুন ব্যবস্থাকে সহজভাবে গ্রহণ করতে হবে, প্রমাণ করতে হবে এটি কোন খারাপ ব্যবস্থা নয়। দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি এবং নির্বাচন কমিশন, কর্মকর্তা ও ভোটারদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচনে কোন ধরনের সংহিসতা হবে না।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন মল্লিকের প্রশ্নোত্তরে ইসি কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকারের কোন পরিষদে থাকাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। উপজেলা পরিষদের সদস্য থাকাবস্থায় ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাদের স্থানীয় সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে।
সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান, অতিরিক্ত কর্মকর্তা মোঃ বজলুর রহমান ও মোঃ আবুল হোসেন, কেএমপি’র বিশেষ পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, খুলনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট নির্বাচন কমিশনার মোঃ রুহুল আমিন মল্লিক প্রমুখ। উল্লেখ্য, প্রথম দফায় আগামী ২২ মার্চ সারাদেশের ৭৫২ ইউনিয়ন পরিষদের সাথে খুলনা বিভাগের ২৫২টিতেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।