Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রবল তুষারপাত ও বৃষ্টিতে জোশীমঠে নতুন বিপদের শঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:১৭ পিএম

বছরে প্রায় আড়াই ইঞ্চি (সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার) করে তলিয়ে যাচ্ছে ভারতের গঢ়ওয়াল হিমালয়ের জোশীমঠ এবং এর আশপাশের এলাকা। তিন বছর আগের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে আসে। এ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের চিন্তার শেষ নেই। গেল কিছুদিনে অবশ্য ওই এলাকায় নতুন করে কোনো বাড়িতে ফাটল ধরেনি। তবে সম্প্রতি শুরু হওয়া প্রবল তুষারপাত ও বৃষ্টি তাদের আবার আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তবে এখনো প্রায় ৬০০টি বাড়িতে বাসিন্দারা রয়ে গেছেন। এসব বাড়িতে অল্প ফাটল ধরায় তারা অন্যত্র যেতে চাননি। কিন্তু জোশীমঠবাসীর আশঙ্কা, তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফাটল আরও বড় হতে পারে। নতুন করে ভূমিধসও নামতে পারে এলাকায়।
‘জোশীমঠ সংঘর্ষ বাঁচাও কমিটি’র আহ্বায়ক অতুল সতি জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো ৬০০টি বাড়িকে বিপদগ্রস্ত বলে উল্লেখ করা হয়নি। তার আশঙ্কা, ওই বাড়িগুলোর বাসিন্দারা নতুন করে বিপদের মুখে পড়তে পারেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান রঞ্জিত কুমার সিন্হাকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
অতুল সতি বলেন, মিস্টার সিন্হা, দয়া করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিপদের মোকাবিলা করুন। কোনো সংস্থার কথায় চলবেন না।
সংস্থা বলতে অতুল এনটিপিসিকেই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। আগেও তিনি জোশীমঠের বিপর্যয়ের জন্য এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে দুষেছিলেন।
অতুল আশঙ্কার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, তুষারপাত এবং বৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথগুলো আবার জেগে উঠছে। এর ফলে ভূমিধসের সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে।
ইতোমধ্যেই কিছু জায়গায় ফাটল বড় হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন অতুল। তার আরও দাবি, বিপদগ্রস্ত বাড়িগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও প্রশাসন এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ভাঙার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, তারা সব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে। আরও কিছুদিন ওই অঞ্চলে তুষারপাত চলার পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ