বান্দরবানের তুমব্রু এলাকার শুন্য রেখায় রোহিঙ্গা শিবিরের অবশিষ্ট ঘর গুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া গভীর রাতে প্রচুর গোলাগুলির শব্দে সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় লোকজন ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থায় বিজিবি টহল দিচ্ছে।
শুক্রবার ( ২০জানুয়ারি) রাত ১২ টার পর তুমব্রু সীমান্তে জিরো লাইনে আগুন দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। দু' গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন- রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও আরসার মধ্যে কয়েকদিন থেকে সংঘর্ষ চলছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেছেন, বাংলাদেশের জিরো লাইনের রোহিঙ্গা শিবিরে কি পরিমান রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। তাদের বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। রোহিঙ্গারা যাতে অন্য কোন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে বিষয়ে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ জানুযারি) বিকেলে দুর্বৃত্তরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দিলে সেখানকার দেড় সহস্রাধিক রোহিঙ্গা আতঙ্কে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থান নেয়। পরিবারগুলো এখন ঘুনধুম স্কুল ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বরেছেন, বুধবার ভোরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোহিঙ্গাদের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে হামিদুল্লা নামের এক রোহিঙ্গা নিহত ও মহিদুল্লা নামের এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।