Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি কমলেও জনজীবনে স্বস্তি ফেরেনি

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গত ডিসেম্বরে তা নেমে আসে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে। কিন্তু এখনো গত ৪০ বছরের মধ্যে তা শীর্ষে রয়েছে। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। যদিও জ্বালানি, পোশাক ও বিনোদনমূলক কাজের খরচ কিছুটা কমেছে। আর এগুলোই মূলত সূচকে এ পরিবর্তন এনেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি খুব সামান্য পরিমাণ কমলেও তা সাধারণ মানুষের জীবনে এখনো তেমন প্রভাব রাখতে পারেনি। দ্য অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) বলছে, ভোক্তা মূল্যস্ফীতি সূচকের (সিপিআই) বার্ষিক হার গত মাসে আবার নেমেছে। ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা নভেম্বরের ১০ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কম। এটি সবশেষ চূড়ায় উঠেছিল অক্টোবরে, তখন এ হার ছিল ১১ দশমিক ১ শতাংশ, যা ছিল গত ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ছিল, ডিসেম্বরে ১০ দশমিক ৫ শতাংশের মতোই হবে। মাস শেষে সেটিই সত্যি হয়েছে। চলতি বছর মূল্যস্ফীতি অর্ধেকে নামিয়ে আনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরজুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা তাদের মাথায় রয়েছে। তবে আগামী বৈঠক থেকে সুদের হার বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদের হার বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও অনেকেই বলছেন, মূল্যস্ফীতির মূল কারণ বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হলেও তা এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরে সিপিআইয়ের পতনের কারণ ছিল পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমে যাওয়া। সেই সঙ্গে ২০২১ সালের একই মাসের তুলনায় কমেছে পোশাকের দামও। ওএনএসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গ্রান্ট ফিজনার বলেন, ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। যদিও এটি এখনো অনেক উচ্চপর্যায়ে রয়েছে। গত বছরজুড়েই সবকিছুর দাম বাড়তি। যে ধারা এখনো অব্যাহত। তবে ডিসেম্বরে পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমেছে। কাপড়ের দামও কমেছে। তবে এগুলো মানুষের কাজে আসছে না। কারণ গাড়ি ও উড়োজাহাজের ভাড়া বাড়তি, বেড়েছে পরিষেবা খাতের হোটেল ভাড়াও। খাদ্যমূল্য এখনো বেশি, দোকান, ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁয়ও সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছিল যে সুদের হার ৩ শতাংশ বাড়াতে পারে। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে দীর্ঘমেয়াদে মন্দা চলতে পারে বলেও শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ