মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রান্নার কাজে গ্যাসের ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি উত্তপ্ত বিতর্ক শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত ৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সংস্থা কনজ্যুমার প্রোডাক্ট সেফটি কমিশনের (সিপিএসসি) অন্যতম কমিশনার রিচার্ড ট্রুমকা জুনিয়র মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানান, তারা গ্যাস হব নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এটিকে ‘গোপন বিপদ’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার এই মন্তব্যে ফুঁসে ওঠেন রক্ষণশীলরা। অনেকেই এর জন্য সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন। টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান রনি জ্যাকসন টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘হোয়াইট হাউসের পাগলরা যদি চুলা নিতে আসে, তারা আমার মৃতের মতো ঠান্ডা হাত থেকে সেটি ছিনিয়ে নিতে পারে। এসো, নিয়ে যাও!’ অ্যান্ড্রু গ্রুয়েল নামে টেলিভিশনের এক তারকা শেফ ওই পরিকল্পনার প্রতিবাদে টেপ দিয়ে নিজেকে চুলার সঙ্গে বাঁধেন। এমনকি কিছু ডেমোক্র্যাটও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। পশ্চিম ভার্জিনিয়ার সিনেটর জো মানচিন এই নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনাকে ‘বিপর্যয়ের রেসিপি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু হঠাৎ গ্যাসের চুলা যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এলো কেন? দেশটিতে প্রায় ৩৮ শতাংশ পরিবারে গ্যাসের চুলা রয়েছে। যদিও রাজ্যভেদে এর হার ভিন্ন হতে পারে। অনেকের মতে, এগুলো বৈদ্যুতিক চুলার তুলনায় সস্তা এবং বেশি কার্যকরী, এমনকি গ্যাসের চুলায় রান্না করা খাবারের স্বাদও নাকি বেশি ভালো। ১৯৩০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিজ্ঞাপনের সেøাগান ছিল ‘কুকিং উইথ গ্যাস’ (গ্যাস দিয়ে রান্না)। এটি মার্কিনিদের মনে পাকাপোক্ত আসন করে নিয়েছে। আমেরিকান গ্যাস অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি বাণিজ্যিক সংগঠন কুকিং উইথ গ্যাস ডট অর্গ ওয়েবসাইটে নিয়মিত রেসিপি প্রকাশ করে থাকে। স্পনসর করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেশটির ইনফ্লুয়েন্সাররাও তাদের গ্যাসের চুলা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এসব চুলা নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন দূষণকারী পদার্থ নির্গত করে এবং হাঁপানিসহ স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত নানা ঝুঁকি তৈরি করে। ভেন্টিলেশন বা বায়ু চলাচলের উন্নত ব্যবস্থা থাকলে এসব বিপদের ঝুঁকি হয়তো কিছুটা কমানো সম্ভব। কিন্তু তাতেও অভ্যন্তরীণ দূষণ খুব একটা কমে না। দ্য ইকোনমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।