মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়ার পথে ভারত। কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন এ মাইলফলক অতিক্রম করবে দেশটি। প্রশ্ন উঠেছে, স্ফীত জনসংখ্যার চাপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান জোগান হচ্ছে কি-না। ষাট বছর পর এবারই চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সূচক ঋণাত্মক। এ পরিবর্তন উভয় দেশের জন্য অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দুটি দেশেরই ১৪০ কোটি করে জনসংখ্যা প্রভাব ফেলবে এশিয়ার অর্থনীতির গতিপথে। সিএনএনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না ভারতে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে, ভারতের ৯০ কোটি যুবক কর্মক্ষম। আগামী দশকে সংখ্যাটি ১০০ কোটিতে পৌঁছাবে। কর্মক্ষম জনসংখ্যার এ বৃদ্ধির অনুপাতে বাজার সৃষ্টি করতে পারছে না দেশটি। সঙ্গে রয়েছে নিম্ন বেতন ও চাকরিক্ষেত্রের প্রতিকূলতা। ভারতে কর্মক্ষম ব্যক্তিদের কাজে অংশগ্রহণের হার ৪৬ শতাংশ। অথচ এই হার চীনে ৬৮ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৬১ শতাংশ। এর চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নারীর ক্ষেত্রে। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীদের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার হার মাত্র ১৯ শতাংশ। অথচ ২০০৫ সালেও এ হার ছিল ২৬ শতাংশ। ভারতের কাঁধে বেকারত্ব বোঝা হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেকারত্বের হার বর্তমানে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে মুম্বাই ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)। মানহীন শিক্ষা ও অদক্ষতা বেকারত্বের অন্যতম কারণ। ফলে হাজারো উচ্চ ডিগ্রি নেয়া তরুণ পিয়ন ও কেরানির পদে আবেদন করছে। বর্তমান ভারতের শ্রমশক্তির ৪৫ শতাংশ জড়িত কৃষি খাতে। নগরায়ণের যুগে ভবিষ্যতের জন্য দেশটিকে নন-ফার্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মনোযোগী হতে হবে। ২০২০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট থেকে দাবি করা হয়, ২০৩০ সাল পর্যন্ত অন্তত ৯ কোটি নন-ফার্ম নতুন চাকরি সৃষ্টি করতে হবে। এর জন্য শিল্প ও উৎপাদন খাতে জোর দেয়া যেতে পারে। চীনের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের রেষারেষি থাকার সুযোগে ভারত কিছুটা সুযোগ নিয়েছে। অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো এখন নতুন করে বিনিয়োগ করছে। নিজেরাও দাঁড় করিয়েছে প্রতিষ্ঠান। তারপরও বর্তমান ভারতের মোট জিডিপিতে কারখানার অবদান মাত্র ১৪ শতাংশ। তবে কর্মসংস্থানের বৈচিত্র্যের প্রতিও ভারতকে মনোযোগ দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, কর্মসংস্থান প্রয়োজন অর্থনীতির জন্য। সবাইকে সফটওয়্যার প্রোগ্রামার ও কনসালট্যান্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।