মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আপাতদৃষ্টিতে খুবই সাধারণ একটি ছবি। আর সে ছবিই নেটদুনিয়ায় জাগিয়ে তুলেছে কৌত‚হল। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, বোরখা পরেই খাবার ডেলিভারি করতে বেরিয়েছেন এক মহিলা। কেননা তার পিঠে আছে জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সংস্থার একটি ব্যাগ। সচরাচর এমন ছবি তেমন দেখা যায় না। তাই বোরখা পরে ফুড ডেলিভারি করতে বেরনো ওই মহিলাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় নেটদুনিয়ায়। আর তার ফলেই জানা যায় নেপথ্যের ঘটনা।
কথায় আছে, ‘ডোন্ট জাজ আ বুক বাই ইটস কভার’! এক্ষেত্রেও কিছুটা সেরকমই হয়েছে। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার কিছুদিন পর বাস্তবে এই মহিলার দেখা পান এক ব্যক্তি। তিনিই মহিলাকে তার ভাইরাল হওয়া ছবি ও অসংখ্য মানুষের শুভেচ্ছাবার্তা দেখান। তারপরই সামনে আসে আসল সত্যি। এসব দেখার পর ওই মহিলা জানান, তিনি আদৌ কোনো খাবার ডেলিভারি সংস্থার কর্মী নন। কাজের সুবিধার জন্য এক পুরনো জিনিসের দোকান থেকে মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে এই ব্যাগটি কিনেছেন। আর কাজের সুবাদে ওই ব্যাগ নিয়েই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয় তাঁকে।
কিন্তু কী এমন কাজ করেন মহিলা, যার জন্য ডেলিভারি সংস্থার ব্যাগ নিয়ে তাঁকে রাস্তায় ঘুরতে হয়?
সে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নিজের জীবন সংগ্রামের গল্প শুনিয়েছেন বছর ৪০-এর রিজওয়ানা। জানা গেছে, লখনউ শহরের জনতা নগর কলোনিতে তিন সন্তানকে নিয়ে তার বাস। কয়েক বছর আগে অভাবের তাড়নায় তার স্বামী হঠাৎ করে পরিবার ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকেই রোজগারের জন্য পথে নামতে বাধ্য হন রিজওয়ানা। বর্তমানে তিনি সারাদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি দুপুর গড়ালে দৈনন্দিন ব্যবহারের কিছু সামগ্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করেন রিজওয়ানা। তার মতে কেবলমাত্র পরিচারিকার কাজ করে তিন সন্তানের লালন করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তাই এ বিকল্প রোজগারের পথ বেছে তিনি। এর জন্য প্রতিদিন পাইকারি বাজার থেকে কিছুটা কমদামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনেন তিনি। তারপর ব্যাগে ভরে সেই জিনিস বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন। তার মতে এই কাজের দরুন তাকে রোজই প্রায় ২০-২৫ কিমি পায়ে হেঁটে ঘুরতে হয়।
আসল ঘটনা যাই হোক না কেন, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় কিছুটা আর্থিক সুবিধাও হয়েছে রিজওয়ানার। তার এ জীবন সংগ্রামের কাহিনি শোনার পর অনেকেই তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে মহিলার একমাত্র লক্ষ্য নিজের সন্তানদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা। তাই তাদের পড়াশোনার কোনো খামতি রাখতে চান না তিনি। প্রয়োজনে তাকে যত কষ্টই করতে হোক, হাসিমুখেই তা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন এই ‘লড়াকু মা’। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।