পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডোনাল্ড লু’কে বাংলাদেশে ত্রæটিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে এবং নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার কথা জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাবেন। এতে কটাক্ষ করার কিছু নেই। তবে নেতিবাচক রাজনীতি করে অসুস্থ হলে বিএনপিকেও হাসপাতালে যেতে হবে। ধ্বংসের রাজনীতি করে, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, মানুষ হত্যার রাজনীতি করে, ভোট চুরির রাজনীতি করে দলটি অসুস্থ হয়ে গেছে। হাসপাতালে তাদের যাওয়ার দরকার। এজন্য বিএনপিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে ভেসে আসা দল নয়, এ দল শিকড়ের অনেক গভীরের দল। সরকার পতন করবেন, শেখ হাসিনাকে হটাবেন, বাংলার মানুষ চুপ করে বসে থাকবে না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকান সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে। আমাদের দেশে আইন দিয়ে নির্বাচন কমিশন হয়েছে। আমরা ত্রæটিমুক্ত অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে করবে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের সিটিং গর্ভমেন্টের মতো রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন-শৃংখলা সবই থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে নয়। এতে ভয় পাচ্ছেন কেন? ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। জানি শেখ হাসিনার উন্নয়নে দেশের মানুষ খুশি আর আপনাদের (বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর) মন খারাপ। নির্বাচনে হেরে যাবেন দেখে এই ভয়ে ফখরুল সাহেব মাঝেমাঝে রেগে যান। হেরে গেলেও রেগে যান। আগেভাগে হারার আগে হারছেন কেন? নির্বাচনে আসেন আপনাদের সক্ষমতার একটা পরীক্ষা হয়ে যাক। আমরা রেডি আছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেলসহ একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিএনপি চোখে শর্ষে ফুল দেখছে। কারণ তারা এসব উন্নয়ন কখনোই দেখাতে পারেনি। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তাদের মনে জ্বালা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শত শত সেতু, তাদের জ্বালা। সামনে ৩১ কিলোমিটারের আরেকটি মেট্রোরেল হবে এবং পাতাল রেলের উদ্বোধন হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মেট্রোরেলের আওতায় চলে আসবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এমআরটি লাইন-১ পূর্বাচল থেকে কমলাপুর হয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার মেট্রোরেল হচ্ছে। এ মেট্রোরেলের ২১ কিলোমিটার পাতালরেল। আগামী ২৬ তারিখ পূর্বাচলে এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার আশপাশে ছয়টা মেট্রোলাইনের মাধ্যমে ঢাকা পুরোপুরি মেট্রোরেল নেটওয়ার্কে আওতায় চলে আসবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।