Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চাকরি ছেড়ে ফুটপাথে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

একদিন বড় টি-ক্যাফের মালকিন হবেন তিনি। রাস্তার পাশে চাকা লাগানো গাড়িতে চা বানাতে বানাতে সেই স্বপ্নই দেখেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এই তরুণীর ছোট্ট চায়ের ঠেলা সবে পথ চলা শুরু করেছে দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের গোপীনাথ বাজারে।
এর আগে শর্মিষ্ঠা চাকরি করতেন ব্রিটিশ কাউন্সিলে। কিন্তু নিজেই কিছু করবেন বলে চাকরি ছেড়ে দেন। তার কথা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খন্না। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমি কৌত‚হলী হয়ে তাঁকে এরকম কাজ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি জানান, তার একদিন বড় সংস্থার কর্ণধার হওয়ার ইচ্ছে আছে।৷
শর্মিষ্ঠার বান্ধবী ভাবনা রাও চাকরি করেন লুফথানসা বিমান সংস্থায়। এ ছোট্ট চায়ের দোকানের যৌথ কর্ণধার তিনিও। এছাড়াও দোকানের আনুষঙ্গিক কাজে সাহায্য করেন শর্মিষ্ঠার গৃহ সহায়িকা। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খন্নার কথায় ছোট বা বড় চাকরি বলে কিছু হয় না। অন্যদের উদ্দীপ্ত করার জন্য মানুষের নিজের সবার আগে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা প্রয়োজন। স্বপ্নকে সফল করে তোলার জন্য ইচ্ছাশক্তি দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উচ্চশিক্ষিত যুবক যুবতী যাঁরা চাকরি চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের কাছে শর্মিষ্ঠা আদর্শ হয়ে উঠতে পারেন বলে মত প্রাক্তন সেনা অফিসার সঞ্জয়ের। তিনি মনে করেন ছোট বড় বলে কাজের কিছু হয় না। উচ্চশিক্ষিত হয়ে এই ধরনের কাজ করা যাবে না, এমন ধারণারও বিরোধী তিনি। তিন দিন আগে করা তার পোস্টে এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি লাইক এসেছে। ৯১৮টি মন্তব্যের পাশাপাশি আছে ৬১৫টি রিপোস্ট। নেটিজেনদের ছুঁয়ে গিয়েছে শর্মিষ্ঠা ও ভাবনার লড়াই। গোপীনাথ বাজারে তাঁদের দোকানে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সূত্র : নিউজ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ