নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খেলা চলাকালীন সময়ে দর্শকের মাঠে ঢুকে পড়ার দৃশ্য ক্রিকেটে নতুন নয়। র্বতমানে বাংলাদেশে ব্যাপারটা বেশি হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ডমিনেটর্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। টুর্নামেন্টের ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং ঢাকা ডমিনেটর্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে ঢাকার বিপক্ষে সিলেটের ষষ্ঠ ওভারে বল করছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে দিলশান মুনাবিরা আউটের পরই মাঠে ঢুকে পড়ে এক দর্শক। পশ্চিম গ্যালারি থেকে সোজা দৌঁড়ে সেই দর্শক সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সিলেটের জার্সি ও পিঠে মাশরাফির ছবি আঁটা সেই ভক্তকে নিজের বুকে টেনে নেন মাশরাফিও। যদিও তাকে নিভৃত করতে ততক্ষণে সেখানে হাজির মাঠের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিসিবির নিরাপত্তা কর্মীরা। মাঠ থেকে বের করে বাইরে নেয়ার পথে ঐ ভক্তের গায়ে হাত বুলিয়ে দেন মাশরাফি। সিলেট অধিনায়ককে তখন বলতে শোনা যায়, ‘ও আমার ভক্ত, ওকে দেড়ে দে।’ তবে আইন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাকে সেখান থেকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে পাহারতলী থানায়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, ঐ পাগলাটে ভক্তের নাম লুৎফর রহমান হীরা। ১৮ বছরের সদ্য কৌশুর পেরুনো এই তরুন শুধুমাত্র মাশরাফিকে দেখতে চট্টগ্রামে এসেছেন সূদুর ময়মনসিংহ থেকে! তার চাইতেও চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা, কবি নজরুল বিশ^বিদ্যালয়ের এই ছাত্র মাত্র চট্টগ্রামে আসা ও বিপিএল ম্যাচ দেখতে বিক্রি করতে হয়েছে নিজের শখের মোবাইল সেটটিও! এমন খবর চাউর হতে সময় লাগেনি সাগরিকায়। কানে পৌঁছায় মাশরাফিরও। রোমাঞ্চকর ম্যাচটি জয়ের একটু পরই তিনি নিজে ফোন করেন পাহাড়তলী থানায়। সেখানকার কর্তব্যরত অফিসারকে নির্দেশ দেন তাকে ছেড়ে দেয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।