Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় কিরণ

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

গত প্রায় এক যুগ ধরে দেশের নারী ফুটবলাররা সাফল্যের ধারায় রয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে একের পর এক শিরোপা জিতে দেশবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। লাল-সবুজের নারী ফুটবলারদের সাফল্যের অন্যতম কারিগর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। যার অসীম সাংগঠনিক দক্ষতায় দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে এখন সেরা দল বাংলাদেশ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত শিরোপা জিতে শুধু কিরণের মুখই নয়, গোটা জাতির মুখ উজ্জ্বল করেছেন সাবিনা খাতুনরা। মূলত তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে লাল-সবুজের নারী ফুটবল। দেশের ক্রীড়াবোদ্ধাদের মতে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অভিভাবক হিসেবে সংগঠক ক্যাটাগরিতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ার অন্যতম দাবিদার মাহফুজা আক্তার কিরণ। জানা গেছে, এই পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। তাই বলা যায় জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন কিরণ।
গত এক যুগ ধরেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে গেছেন কিরণ। মেয়েদের ফুটবলে সাফল্যের পাশাপাশি তার মুকুটেও যোগ হয়েছে নিত্যনতুন সাফল্যের পালক। ২০১৭ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ান ময়া ডডকে হারিয়ে প্রথমবার এবং ২০১৯ সালে ফিফা কাউন্সিলর সদস্যদের নির্বাচনে উত্তর কোরিয়ার উন গিউনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যানও হয়েছেন। ২০১২ সালে জাপানে নারী ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ^কাপ এবং ২০১৬ সালে পাপুয়া নিউগিনিতে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ^কাপ ফুটবলের সাংগঠনিক কমিটিতেও ছিলেন কিরণ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হন তিনি। তখন থেকেই এএফসি নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারপার্সনও কিরণ। এর আগে ছিলেন অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার (ওসিএ) অ্যাথলেট মেম্বার। নারী ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ২০১১ সালে শেখ জামাল পুরস্কার জেতেন কিরণ। ২০১৭ সালে নারী উদ্যোক্তা অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউইএবি) পুরস্কার ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) এবং ২০১৮ সালে অনন্যা সেরা দশের একজন হয়ে পুরস্কার জেতেন তিনি। এমন বর্ণাঢ্য সাংগঠনিক জীবনের অধিকারিনী এই ক্রীড়া সংগঠকের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেই মনে করেন বাফুফের সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি বিচারক হলে অনেক আগেই মাহফুজা আক্তার কিরণকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করতাম।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ