Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিমান ছিনতাই ঘিরে নাটক মাল্টায়

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জানা গেল না দাবি কী : মানা হল কি না
ইনকিলাব ডেস্ক : মাল্টায় বিমান ছিনতাইকে ঘিরে নাটকের সমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু জানা গেল না ছিনতাইকারীদের দাবি কী ছিল এবং তা মানা হয়েছে কি না। খবরে বলা হয়, মাঝ আকাশে দুই ছিনতাইকারীর হুমকির জেরে আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজ-এর ৮ইউ২০৯ ফ্লাইটকে লিবিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর সাভা থেকে রাজধানী ত্রিপোলি যাবার পথে ত্রিপোলি পেরিয়ে নামতে হলো মাল্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানে মাত্র সোয়া ঘণ্টার পথ হলেও শুক্রবার সকালে গন্তব্যে পৌঁছনো হয়নি ফ্লাইটটির। তার বদলে উপকূল থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টায় নামতে হয় বিমানটিকে। সেখানে নামার পরে যাত্রীদের মুক্তি ও ছিনতাইকারীদের আত্মসমর্পণ পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা নাটকের সাক্ষী হতে হয় আরোহীদের। কিন্তু তার পরেও কেন ছিনতাই, সেটা স্পষ্ট হয়নি। মাল্টা প্রশাসনের বক্তব্য, ছিনতাইকারীরা গ্রেনেডে বিমান উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বিমানটিকে তাদের দেশে নামতে বাধ্য করে। পরে তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়।  বিমানে যাত্রী ছিলেন ১১১ জন। মাল্টা সেনাবাহিনীর তৎপরতায় একে একে সব যাত্রীকে বের করেও আনা হয়।
‘টেলিভিশন মাল্টা’র ফুটেজে দেখা যায়, বিমানের দরজা খুলে দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। একে একে বেরিয়ে আসছেন ২৮ জন নারী। সঙ্গে ছিল একটি শিশুও। তার পরে বেরিয়ে আসেন ৮২ জন পুরুষ যাত্রী। কিছুক্ষণ পরে সাত বিমানকর্মীও মুক্তি পান। বেলা গড়িয়ে তখন প্রায় বিকেল।
পরে মাল্টার বিদেশ মন্ত্রণালয় জানায়, ছিনতাইকারীরা গ্রেনেড দিয়ে বিমান উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু এই ছিনতাই কেন, তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। মাল্টায় বিমান ছিনতাই ঘিরে আতঙ্ক ছড়ানোয় বেশ কয়েকটি বিমান ঘুরপথে ইতালির কাতানিয়া-ফন্তানারোসা বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কী কারণে বিমান ছিনতাই, তা প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট না হলেও কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন, মরু শহর সাভায় বহু দিন ধরেই উপজাতীয় সংঘর্ষ রিাজমান। লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত মরহুম শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির অনুগত গোষ্ঠী এবং গাদ্দাফি-বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে এখনও মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। বস্তুত গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় সেভাবে স্থিতিশীল সরকার গড়ে ওঠেনি। আর তাই ক্রমশ আইএস ও আল কায়দার মতো জঙ্গি গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়েছে।
মাল্টার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবারের ছিনতাইয়ে গাদ্দাফি অনুগত গোষ্ঠীর হাত ছিল। বিমান থেকে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে তারা তেমন প্রমাণই দিয়েছে। তবে তাদের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী মদদ দিয়েছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। ছিনতাইকারীরা জানায়, দাবি মানলে সবাইকে মুক্তি দেবে। কিন্তু দাবিটা কী আর সেটা মানা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত ধোঁয়াশা থেকে গেছে। লিবিয়ার পরিবহনমন্ত্রী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানানো হয়। সূত্র : এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ