কাতার বিশ্বকাপের পর একসঙ্গে খেলতে নেমে প্রথম হার দেখলেন বর্তমান সময়ের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে। একজন বিশ্বকাপের সোনার বল এবং অন্যজন সোনার বুটের মালিক। অবশ্য তাদের জুটিও পরাজয় এড়াতে পারেনি পিএসজির। উল্টো দুই মহা তারকার উপস্থিতিতেই পিএসজি ১-০ গোলে হার মানে স্টেডে রেনের কাছে। পিএসজির সেরা একাদশে ছিলেন মেসি এবং নেইমার। আর পরে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন এমবাপে। তিন তারকাই প্রায় ৩৫ মিনিট একসঙ্গে ছিলেন মাঠে। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। মৌসুমে দ্বিতীয় হার মনে নিতে হয় পিএসজিকে। এ হারের ফলে লিগ ওয়ানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের সঙ্গে পিএসজির পয়েন্টের ব্যবধান দাঁড়ালো মাত্র ৩-এ। বিশ্বকাপ জিতে ক্লাবের জার্সিতে খেলতে নেমে আগের ম্যাচে পিএসজিকে জিতিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু রেনের বিপক্ষে পারলেন না। ম্যাচে আধিপত্য দেখাল রেনেই। মেসি পুরো ম্যাচে লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছেন একটি মাত্র। অন্যদিকে রেনে মেরেছে ৬টি শট। ১৭টি ফাউল করেছেন প্যারিসের ফুটবলাররা। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, দিনটা পিএসজির ছিল না। ছন্দে ছিলেন না মেসি, এমবাপেরাও। ফলে গোলের মুখ খুলতে পারেনি তাদের দল।
অবশ্য ঘরের মাঠে দুরন্ত ফুটবল খেলেছে রনে। পিএসজিকে হারানোর ফলে ঘরের মাঠে টানা ৯ ম্যাচ জিতল তারা। প্রথমার্ধ অমিমাংসিত থাকলে দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোলটি পায় রেনে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রেনের পক্ষে গোলটি করেন হামারি ট্রাওরে। তার আগেই এমবাপেকে মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ। কিন্তু মেসি-নেইমার-এমবাপে এই ত্রিফলার যোগফলও গোল বের করতে পারেনি। ফলে শেষ পর্যন্ত একমাত্র গোলে হেরেইু মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ম্যাচ শেষে পিএসজি অধিনায়ক মার্কুইনহোস বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতেই দুটি ম্যাচ হেরেছি আমরা। এখন থেকে আরও আক্রমণাত্মক হওয়া প্রয়োজন আমাদের। হতে হবে আরও সলিড। এমনটা হলেই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হয়।’
রেনের কাছে হেরেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। ১৯ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লেন্স, ৪২ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মার্সেই। ৩০ জানুয়ারি রেমসের বিপক্ষে নিজেদের পরের ম্যাচ খেলতে নামবেন মেসিরা। তার আগেই ১৯ জানুয়ারি সউদী আরবে রোনালদোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে পিএসজি।