Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুরোনো মডেল রূপান্তর করে কার্বন নিঃসরণ কমাবে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বড় কোম্পানিগুলো এমনভাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে যেন তা শূন্য কার্বন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। শূন্য কার্বন নিঃসরণের পথে বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে মিলিয়ে বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টয়োটাও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে। এছাড়া যে গাড়িগুলো এরই মধ্যে চলাচল করছে সেগুলোর অভ্যন্তরীণ কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে সেগুলোতে ফুয়েল সেল ও বিদ্যুচ্চালিত মোটর ব্যবহারের পরিবেশবান্ধব করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। খবর এপি। টয়োটার প্রধান নির্বাহী আকিও টয়োডা জানিয়েছেন, কোনো গাড়িকেই বাদ দিতে চায় না টয়োটা। বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপায়ে সড়কে চলাচল করবে টয়োটার গাড়ি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব গাড়িকে কার্বন নিঃসরণমুক্ত করতে বেশ লম্বা সময় প্রয়োজন। কারণ যেসব গাড়ি এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে, সেগুলোকে একটি একটি করে পরিবেশবান্ধব গাড়িতে রূপান্তর করতে হবে। এজন্য ২০৫০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের পথে চলাচলরত প্রতি ২০টি গাড়ির মধ্যে কেবল একটি নতুন মডেলের। আকিও টয়োডা নিজেও গাড়ির রেস পছন্দ করেন। তিনি এটা বিশ্বাস করেন, পরিবেশবান্ধব গাড়ি মানেই সেটি সাধারণ গাড়ির মতো ব্যবহার করা যাবে না বা প্রতিযোগিতায় নামা যাবে না; এটা সঠিক নয়। ফলে রেসিং করা হয় টয়োটার এমন গাড়িগুলোও ফুয়েল সেল ও হাইড্রোজেনচালিত হতে পারে। গত শুক্রবার জাপানের এক প্রদর্শনীতে ১৯৮০ সালের মডেলের জনপ্রিয় স্পোর্টস কারের শূন্য কার্বন নিঃসরণ মডেল প্রদর্শন করা হয়। টয়োটার এ মডেলটি পুরনো হলেও রেসিংয়ের জন্য এখনো দারুণ জনপ্রিয়। বিশ্বজুড়ে চলমান জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত উদ্বেগের মধ্যেই গাড়ি নির্মাণ শিল্প এক ধরনের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে শুরু করেছে। কারণ জলবায়ু দূষণের জন্য যাদের সবচেয়ে দায়ী বলে মনে করা হয়, তারা হলো গাড়ি নির্মাণ শিল্পসংশ্লিষ্ট। সে কারণেই টেকসই ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি উৎপাদনে মনোযোগ দিচ্ছে টয়োটার মতো সব কোম্পানি। সাধারণ মানুষ ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণাও মিলছে ভালো। টয়োটা জাপানের গাড়ির বাজারের মূল নিয়ন্ত্রক। হাইব্রিড প্রযুক্তি দিয়ে এ শিল্পে আধিপত্য বিস্তার করে কোম্পানিটি। যেমন প্রিয়াস, যেটি বিদ্যুচ্চালিত মোটর এবং গ্যাসোলিন ইঞ্জিন, দুটো দিয়েই চলাচল করতে পারে। বিশ্বে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হলেও এখনো এ গাড়ির বাজার ২০ শতাংশের বেশি নয়। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের চেয়ে বরং ইউরোপ এগিয়ে রয়েছে। এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ