মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যতই ধর্মীয় ইস্যু টেনে ফতোয়া জারি করা হোক না কেন, তার সঙ্গে আদতে ধর্মের কোনও যোগ নেই। কারণ কোনও না কোনও রাজনৈতিক কারণেই ফতোয়া জারি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ তা আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক, কোনও মোটেই ধর্মীয় নয়। এমনটাই মত ভারতের কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান-এর। ফতোয়াকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বলেও চিহ্নিত করেছেন তিনি।
সম্প্রতি আর.এস.এস-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঞ্চজন্য পাবলিকেশনের আয়োজিত একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন কেরলের রাজ্যপাল। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন তিনি। তার সাফ কথা, পবিত্র কোরআনে অন্তত ২০০টি জায়গায় বলা রয়েছে যে, কোনও বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করার অধিকার এক এবং একমাত্র ঈশ্বরের। সোজা কথায়, একমাত্র ঈশ্বরই ঠিক করে দিতে পারেন যে কী ঠিক আর কোনটা ভুল। মানুষের মৃত্যুর পর তার সঙ্গে যখন দেখা হবে, তখনই সে নিজের পাপ পুণ্যের কথা জানতে পারবে, তার আগে নয়। সুতরাং কথায় কথায় যেভাবে কোনও ঘটনাকে অন্যায় বা ধর্মবিরোধী বলে দাগিয়ে দেয়া হয়, তা করার অধিকার কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংগঠন, এমনকি কোনও ধর্মগুরু, এদের কারোরই নেই। এ বক্তব্যে ফতোয়া জারি করার প্রবণতাটিকেই নাকচ করে দিয়েছেন আরিফ মহম্মদ খান।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসে থাকার সময় তার বিরুদ্ধেও একাধিক বার ফতোয়া জারি হয়েছিল। আসলে যে কোনও সমাজেই দুটি দৃষ্টিভঙ্গি থাকে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু যাদের হাতে ক্ষমতা থাকে, তারা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সোচ্চারে ছড়িয়ে দিতে পারে। উপরন্তু শাসক সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে একরকম ধর্মীয় বৈধতা দেয়। এও আসলে ক্ষমতারই খেলা।
আরিফ মহম্মদের মতে, হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ওফাতের পর থেকেই ইসলাম ধর্ম রাজনীতির দখলে চলে গিয়েছে। আর সেই কারণেই কথায় কথায় এইভাবে ফতোয়ার ছড়াছড়ি হয় বলে তিনি মনে করেছেন। কোনও ধর্মীয় কারণে নয়, নিছক রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে এইভাবেই ফতোয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।