Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রসব পরবর্তী সঠিক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিতে মাতৃমৃত্যুর হার কমে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:০১ পিএম

প্রসব পরবর্তী সঠিক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিলে মাতৃমৃত্যুর হার কমে। দুই বছরের বেশী সময়ের ব্যবধানে সন্তান গ্রহন করলে ৩০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু এবং ১০ শতাংশ শিশুমৃত্যু এড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশের মতো স্বল্পআয়ের দেশগুলোতে প্রতি ৩ জনে একজন সন্তান প্রসবের দুই বছরের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারন করে থাকে। জ্যাপাইগো বাংলাদেশ পরিচালিত প্রকল্প বাস্তবায়ণের মাধ্যমে দেখা গেছে প্রসবোত্তর সঠিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিলে মাতৃমৃত্যুর হার কমে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীতে জ্যাপাইগো বাংলাদেশ থেকে বাস্তবায়িত প্রকল্প ‘প্রসবপরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা ত্বরান্বিতকরণ’ এর জাতীয় পর্যায়ে ওয়ার্কশপে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরিবার কল্যান বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানুর সভাপত্বিতে ওয়ার্কশপে আরো বক্তব্য রাখেন জ্যাগাইগো বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান ডা. সেতারা রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. নুরুন নাহার বেগম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা’র সহজলভ্যতা নিশ্চিতে জ্যাপাইগো’র অবদান প্রশংসীয়। তিনি বলেন, দম্পতিরা যদি দুই বছরের বেশী সময়ের ব্যবধানে সন্তান গ্রহন করেন তাহলে ৩০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু এবং ১০ শতাংশ শিশুমৃত্যু এড়ানো সম্ভব। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মতো স্বল্পআয়ের দেশগুলোতে প্রতি ৩ জনে একজন সন্তান প্রসবের দুই বছরের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারন করে থাকে। প্রসবোত্তর মায়েদের ৯০ শতাংশ পরবর্তী সন্তান নিতে বিলম্ব চাইলেও সঠিক প্রসবোত্তর পরিকল্পনার অভাবে নানা জটিলতায় পড়েন।

জরিপে দেখা যায়, সারাদেশে যেখানে প্রসব পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহনের হার মাত্র দশমিক সাত শতাংশ সেখানে জ্যাপাইগো’র প্রকল্পাধীন এলাকায় পরিকল্পনা গ্রহনের হার ১২ শতাংশ। আশাতীত এ কর্মকান্ডে প্রশংসীয় অবদানের জন্য মাঠ পর্যায়ের সফল কর্মকর্তাদের পিপিএফপি চ্যাম্পিয়ন সম্মামনা ঘোষনা করা হয়।

বক্তারা বাংলাদেশে প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থার উন্নয়নে জ্যাপাইগো বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা করেন। প্রকল্পের আওতায় জ্যাপাইপো বাংলাদেশ ঢাকার শহরে বস্তি এলাকায় এবং ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মৌলভীবাজার জেলার ৪ টি সদর হাসপাতাল, ১২ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রসহ মোট ২০ টি সেবাকেন্দ্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, অবকাঠামো উন্নয়ন, যৌথ উদ্যেগে অ্যাপস তৈরী, ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষন, সচেতনতামূলক প্রচারনা প্রদান করে যা দেশের প্রসূতী এবং প্রসব পরবর্তী মায়েদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে প্রসবকালীন জটিলতায় মাতৃমৃত্যুর হার ৭০ এ নামিয়ে আনার টার্গেট পূরন সম্ভব বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ