মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতার পক্ষেই মতামত দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এর সঙ্গেই বিজেপির অস্বস্তি আরো কিছুটা বাড়িয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সিএএ লাগু করলে দেশে সংখ্যালঘুদের ভ‚মিকা খাটো হয়ে যাবে। অন্যদিকে সংখ্যাগুরুদের উৎসাহ দেবে এই উদ্যোগ।
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, আমি যেটুকু বুঝতে পারছি (সিএএ লাগু করার পেছনে) বিজেপি মূল লক্ষ্যটা হল সংখ্যালঘুদের ভ‚মিকাটিকে কমিয়ে ফেলা। তাদেরকে গুরুত্বহীন করে দেয়া। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এটা করা হচ্ছে। এর সঙ্গেই হিন্দু সংখ্যাগুরুদের ভ‚মিকাকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সংখ্যালঘুদের ভ‚মিকাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা হয়েছিল। এ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা সেখানকার সংখ্যালঘুদেরও ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে এখনও এ আইন প্রয়োগ করা হয়নি।
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, ভারতের মতো একটি দেশ যেটিকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে গণ্য করা হয় সেখানে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। কাউকে সংখ্যালঘু হিসাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত একপেশে ভ‚মিকা নেয়া হচ্ছে। আসলে এটা অত্যন্ত খারাপ মতলবে করা হচ্ছে।
এদিকে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার কতটা সফল হতে পেরেছে তা নিয়ে নোবেলজয়ী জানিয়েছেন, আমি মনে করি না ওরা বিরাট কিছু উন্নয়ন করে ফেলেছে। আমি এটা মনে করি, প্রতি ভারতীয়র একটি নির্দিষ্ট অধিকার থাকা দরকার। দেশবাসী হিসাবে এটা তার থাকা দরকার। মহাত্মা গান্ধী তো এটাই চেষ্টা করতেন।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী কোনোদিন একটি গোষ্ঠীকে অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিতেন না। তিনি বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে একজন হিন্দু হওয়া সত্তে¡ও স্বাধীনতার আগে মুসলিমদের যে পরিস্থিতি ছিল তার থেকেও উন্নত করার চেষ্টা তিনি করতেন। অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, দেখবেন একদিন ভারতকে সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের এভাবে অবহেলা করার মাসুল গুনতে হবে।
এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিগতদিনে গোটা দেশ জুড়েই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা সেখানকার সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তবে এই আইন পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিক্ষোভ সামাল দিতে কার্যত হিমসিম খায় পুলিশ। প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।