মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
থাইল্যান্ডের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশের নাম জাপান। কেবল টয়োটা ও এর বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাই কর্মীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার। কিছু পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মোট জিডিপির ৪ শতাংশের পেছনে জাপানের এ কোম্পানির অবদান রয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের মোট এফডিআইয়ের (প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ) হার ছিল ৩২ শতাংশ। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) তথ্য বলছে, জাপানের এফডিআইয়ের বড় অংশই প্রবেশ করে থাইল্যান্ডের বাজারে। তবে থাইল্যান্ডের গাড়ির বাজারে জাপানের এ একচেটিয়া অধিকারের জায়গায় কৌশলগত পরিবর্তন এসেছে। আর এ পরিবর্তনের পেছনে মূল ভ‚মিকা রাখছে চীন। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে জাপান-থাইল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্কে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মূলত গত কিছুদিনে থাইল্যান্ডে বেড়েছে চীনের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) উৎপাদন। আর এটিই জাপানের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে চাপে ফেলেছে। স¤প্রতি থাইল্যান্ডে বাণিজ্যের ৬০তম বার্ষিকী পালন করে টয়োটা মোটরস। নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জাঁকজমকভাবে এ আয়োজন উদযাপন করা হয়। থাইল্যান্ডের কারখানায় প্রস্তুত প্রথম হাইলাক্স ট্রাক ও ১৯৭০ সালের একটি করোলা গাড়িসহ দেশটিতে তৈরি হওয়ার মডেলগুলো এ আয়োজনে প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে কোম্পানির প্রেসিডেন্ট আকিও টয়োডা বলেন, ‘টয়োটা ও থাইল্যান্ডের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। এ যুগলবন্দি সামনের দিনগুলোয় আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।’ তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে জাপানের গভীর বন্ধনের বিষয়টিই উঠে আসে। থাইল্যান্ডের বাজারকে অনেকটা নিজের বাড়ির উঠানের মতো বিবেচনা করে টয়োটাসহ জাপানের বড় কোম্পানিগুলো। জাপান ছাড়া অন্য কোনো দেশ থাইল্যান্ডে এত বেশি বিনিয়োগ করেনি। জাপানি করপোরেট কোম্পানিগুলো থাইল্যান্ডে এত বিনিয়োগ করেছে যে এর মাধ্যমে দেশটি আঞ্চলিক মোটর উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। কেননা থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে শুরু করেছে চীনা বিনিয়োগ। কয়েক মাস আগে চীনের ইভি নির্মাতা বিওয়াইডি থাইল্যান্ডের পূর্ব উপক‚লীয় অঞ্চলের রাইয়ংয়ে এক বর্গকিলোমিটার জমি কিনতে চুক্তি সই করেছে। এ জমিতে স্থাপিত কারখানায় ২০২৪ সাল নাগাদ ইভি উৎপাদনে যাবে। জমিটি বিক্রি করেছে থাইল্যান্ডের শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএইচএ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গত ২৫ বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন। এ লেনদেনের মধ্য দিয়ে ২০২২ সালে চীন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিণত হয়েছে। জেট্রোর তথ্য বলছে, ১৯৯৪ সালের পর থেকে এ অবস্থান একচ্ছত্রভাবে জাপানের দখলে ছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল এ বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা এ অঞ্চলে বিনিয়োগে তার লক্ষ্যমাত্রা কেমন। আগ্রাসী বিনিয়োগকারী হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত। আর এখন থাইল্যান্ডে এমন একটি পণ্যের কারখানা চালু করতে যাচ্ছে, বিশ্বে যেটির বড় বাজার ও চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চীন এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভি নির্মাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডের গাড়ির বাজারে ইভির অবদান মাত্র ১ শতাংশ। কিন্তু খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামনের দিনে প্রতিযোগিতা আরো বাড়বে। নতুন নতুন চীনা কোম্পানি থাইল্যান্ডের বাজারে বিনিয়োগ করতে ও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ শুরু করেছে। গত তিন বছরে ডবিøউএইচএ যে পরিমাণ জমি বিক্রি করেছে তার ৩০ শতাংশই কিনেছেন চীন ও তাইওয়ানের ব্যবসায়ীরা। জেট্রো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।