গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ইজতেমার কারণর বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই রাজধানীতে দেখা দিয়েছে পরিবণ সংকট। তবে সাড়ে ১০টার পর সব সড়ক খুলে দেয়া হয়েছে।
ফাতেমা আক্তার মলি। চাকরি করেন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে। তার অফিস ধানমন্ডিতে। আর বাসা খিলক্ষেত এলাকায়। অফিসে আসার জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকাল আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছান তিনি। কিন্তু আজ গাড়ি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। তিনি জানান সকাল সাড়ে সাতটায় বাসা থেকে বের হই। কিন্তু রাস্তায় কোনও গাড়ি নেই। খিলক্ষেত থেকে শেওড়া পর্যন্ত রিকশা দিয়ে আসছে। এখন আর কিছু পাচ্ছি না। জানি না কিভাবে আজ অফিসে যাব।
রুম্মান নামের আরেক ব্যক্তি জানান, আমার অফিস বাংলামটর এলাকায়। থাকি খিলক্ষেত এলাকায়। সেখান থেকে প্রতিদিন বাসে করে অফিসে যাই। কিন্তু আজ ইজতেমার কারণে গণপরিবহন বন্ধ। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রিকশা পেয়েছি। এসেছি কুর্মিটোলা পর্যন্ত। এতেও ভাড়া গুণতে হয়েছে দ্বিগুণ। এখন হেঁটে হেঁটে অফিসে যাচ্ছি।
শুধু ফাতেমা ও রুম্মানই নন, এ রকম হাজারো অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাস, রিকশা না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।
খিলক্ষেত, শেওড়া, বনানী, মহাখালী এলাকায় সড়কে অনেককে সিএনজি ও রিকশার জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুএকটা সিএনজি আসলেও সেগুলোতে যাত্রী রয়েছে। আবার কোনও সিএনজি ফাঁকা এলেও যাত্রীর চাপ বেশি দেখে কয়েকগুণ ভাড়া হাঁকছেন। উপায় না পেয়ে যাদের অফিস দূরে তারা ওই ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে ছুটছেন। আবার অনেককে ভাড়া শেয়ার করে যেতে দেখা গেছে। তবে চেক পোস্টগুলোতে এইসব ছোট যানগুলো আটকে দেয়া হচ্ছে। তাই অনেকেই হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
বিশেষ করে খিলক্ষেত মোড়ে অফিসমুখি মানুষের ঢল দেখা গেছে। সেখানে মোটরসাইকেল ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বাড়তি ভাড়ার কারণে মোটরসাইকেলে যেতে অনিহা অফিসগামীদের।
গাড়ি না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ পণ্য পরিবহনের ভ্যানে করে কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পিকআপে চড়েও অনেককে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিন ফার্মগেট, মহাখালী, বনানী, শেওড়া, খিলক্ষেত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দলে দলে লোকজন হেঁটে ইজতেমার দিকে যাচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ বেশ কয়েকটি এলাকায় চেক পোস্ট দিয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে শনিবার মধ্যরাত থেকে বেশ কয়েকটি রুটে যান চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই পুলিশ সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।