ম্যাচের সময় তখন ৭৫ মিনিট গড়িয়ে শেষের প্রহর।১-০ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ।গোলশোধ ত দূরের কথা ঘরের মাঠে বল পজিশন পেতেই রীতিমত হাসফাস অবস্থা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডর।
ম্যানচেস্টার ডার্বিতে আরও একবার প্রিয় দলের আসন্ন হারের চিন্তায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা দেখতে আসা হাজারো সমর্থকের চোখে মুখে তখন রাজ্যের হতাশা।তবে বিশ্বকাপ বিরতির পর সম্পূর্ণ নতুন উদ্দীপনায় ফুটবল খেলা রেড ডেভিলসরা এত সহজে হার মানতে রাজি ছিলনা।৭৮ থেকে ৮২ এই চার মিনিটের মধ্যে দুই দুইবার সিটির জালে বল পাঠিয়ে ২-১ ব্যবধানে নাটকীয় জয় পায় এরিক টেন হেগের দল।ইউনাইটেডর হয়ে গোল করেন।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে মাচের প্রথম অর্ধে বল পজিশনে সিটি এগিয়ে থাকলেও বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণ সাজিয়েছল স্বাগতিকরাও।১০ম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে এরিকসেনের নেওয়া কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।তবে ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ হারায় ইউনাইটেড। মাঝমাঠ থেকে
ফের্নান্দেসের হাওয়া ভাসানো পাসে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনমার্কড র্যাশফোর্ড দ্রুত সিটি গোলপোস্টের দিকে এগুোতে থাকেন বিপদ বুঝতে তাকে ঠেকাতে পোস্ট ছেড়ে অনেকখানি বেরিয়ে আসেন এডারসন।সিটির গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের শট ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার মানুয়েল আকনজি।চার মিনিট দারুণ এক সেভে র্যাশফোর্ডকে ফের হতাশ করেন এডারসন।
কোন দল গোলের দেখা না পেলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।বিরতির মাঠে আরো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে সিটি। ৫৭তম মিনিটে ফোডেনের বদলি নামার মিনিট খানেকের মধ্যে গোল করে সিটিকে লিড এনে দেন গ্রিলিশ। ডি ব্রুইনার এসিস্টে প্রিমিয়ার লিগে প্রায় চার মাস পর জালের দেখা পান এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
গোলের পরও ম্যাচ ছিল সিটির নিয়ন্ত্রণে।শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া এরিক টেন হাগ দলের তরুণ তুর্কি গারাচোকে মাঠে নামান।৭৮তম মিনিটে বির্তকিত এক গোলে সমতা ফেরায় ইউনাইটেড। মাঝমাঠ থেকে কাসেমিরো পাস দেন র্যাশফোর্ডেকে।পরিষ্কার অফসাইডে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তিনি বল স্পর্শ না করলেও বলের পেছন পেছন এগিয়ে ফের্নান্দেসকে সমতা ফেরানো সেই শট এনে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তোলেন, তবে ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত।
চার মিনিট পরই ফের গোলের দেখা পায় রেড ভেভিলসরা। ডি-বক্সে আলেসান্দ্রো গারনাচোর শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর বল ফিরে আসে তার কাছেই।এবার তিনি পাস দেন গোল মুখে, স্লাইডে সেটিকে জালে দারুণ ফর্মে থাকা র্যাশফোর্ড।
২০০৮ সালে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর ইউনাইটেডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সাত ম্যাচে গোল করলেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। সেই গোলই গড়ে দিল ব্যবধান।
১৮ ম্যাচে ১২ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া সিটি ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে আছে।১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল।