মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের মধ্যে বোমা ফেলেছে মিয়ানমার। এমন দাবিতে সরব ভারতের মিজোরাম রাজ্যের একটি প্রভাবশালী যুব সংগঠন। যদিও ভারত সরকার এখনও এ নিয়ে চুপ। মিজোরামের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও এমন দাবি নিশ্চিত করেনি। কিন্তু ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন-এর দাবি, চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের একটি ক্যাম্পের উপরে মিয়ানমার একের পর এক আঘাত হেনেছে। গত ১০ই জানুয়ারি বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ এই হামলা হয়। মিজোরামের সীমান্তবর্তী লাগোটা চাম্পাই জেলার কাছেই এই ঘটনা ঘটে। ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই বোমা শুধু ভারতের মাটিতে পড়েছে এমনটাই নয়, ভারতের একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিয়াউ নদীর কাছে এই ঘটনা। গাড়িটি আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছেই নদী থেকে বালি তুলতে গিয়েছিল। তখনই বোমা এসে পড়ে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই হামলার পর ভারতীয় কৃষকরা অত্যন্ত আতঙ্কিত। সীমান্তের বাসিন্দারা এনিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন। মিয়ানমারের জেট ফাইটার অন্তত দুবার বোমা ফেলেছে। এর জেরে কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা। এই হামলার বিরুদ্ধে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছে যুব সংগঠন। তাদের দাবি, ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করছে মিয়ানমার, এটা মানা যায় না। ইয়ং মিজো বিবৃতি দেয়ার আগে গত বুধবারই বৃটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলা হয়, মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বোমা মিজোরামের ফকাওয়ান নামে এক গ্রামে পড়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সংবাদপত্র দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, গণতন্ত্রকামী সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন চীন ন্যাশনাল আর্মির রাজনৈতিক শাখা চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদরদপ্তর ক্যাম্প ভিক্টোরিয়ায় চলতি সপ্তাহে অন্তত দুই দফায় বোমা ফেলেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। দুই নারীসহ চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের পাঁচ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের বিমানবাহিনী প্রথম হামলাটি করে মঙ্গলবার দুপুরে। হামলা বাড়ার আশঙ্কা করছেন মিজোরামের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। তারা বলছেন, মিয়ানমারে বোমা হামলার তীব্রতা ফকাওয়ানেও অনুভূত হচ্ছে। এতে বাড়িঘর কাঁপছে ও ফাটল ধরছে। ফকাওয়ান গ্রাম সংসদের সভাপতি লালরমলিয়ানা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মানুষের উদ্বেগে থাকার যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ বোমা এখন মিজোরামের সীমান্তে পড়তে শুরু করেছে। তবে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন বিষয়টি একেবারেই মানতে চায়নি। ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, মিজোরাম সীমান্তের কাছে বোম্বিং হতে পারে। তবে আমাদের দিকে কোনও বোমা পড়েনি। বুধবারের বোম্বিংয়ের জেরে ওখান থেকে শরনার্থীরা ঢুকে পড়েছেন এমন খবরও আমাদের কাছে নেই। মিজোরাম ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রায় ৫১০ কিমি সীমান্ত রয়েছে। গত বছর মিয়ানমারে অস্থির পরিস্থিতির জেরে ভারতের ওই অংশে বেশ কিছু শরনার্থীরা আশ্রয় নিয়েছিল। ইরাবতী, গার্ডিয়ান, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।