মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গত ৯ বছরে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর। এই মৃতদের অধিকাংশই সাগরে ডুবে মারা যাওয়ায় অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি। গত বছর ২০২২ সালে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৭ জনের; আর চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ২৮ জন। নিখোঁজ ও মৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক অভিাবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) একটি প্রকল্প আছে। চলতি সপ্তাহে মিসিং মাইগ্র্যান্টস প্রোজেক্ট নামের সেই প্রকল্পের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইএমও। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসীর মধ্যে ২৫ হাজার ৩৮৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভৌগলিকভাবে এশিয়া ও ইউরোপকে বিচ্ছিন্ন করা ভূমধ্যসাগরে ডুবে। তাদের অনেকের মরদেহও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঠান্ডা, খাবার-পানি ও আশ্রয়ের অভাব, শারীরিক অসুস্থতা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয়েছে বাকিদের। এমনকি ইউরোপে প্রবেশের পরও অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ হাজার মানুষের। আইওএমের প্রতিবেদন বলছে, এক বছরের হিসেবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ২০১৬ সালে। ওই বছর ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৪ জনের। তার আগের বছর, ২০১৫ সালে মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৭১৪টি। এটি এক বছরের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা। প্রথমদিকে আফ্রিকা ও এশীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য একমাত্র রুট ছিল তুরস্ক। তুরস্কের ভূমধ্যসাগর উপকূল থেকে গ্রিস বা ইতালিতে উদ্দেশে রওনা হতেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। গত কয়েক বছর ধরে তুরস্ক রুটের পাশাপাশি লিবিয়া ও তিউনিশিয়া রুটও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দুই রুটে গত কয়েক মাসে নিহত হয়েছেন কয়েক শত অভিবাসনপ্রত্যাশী। অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে প্রবেশ করার প্রবণতা অনেক বেশি— এমন ১০টি দেশের তালিকা প্রস্তুত করেছে আইওএম। সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নামও আছে এ তালিকায়। এছাড়া বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের হিসেবে শীর্ষে থাকা দেশের নাম ভারত, তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ অবস্থান। পাকিস্তান অবস্থান করছে তৃতীয় স্থানে। আইওএমের হিসেব অনুযায়ী, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়র সংংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ৭৯ লাখ; আর প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা ৭৪ লাখ এবং প্রবাসী পাকিস্তানির সংখ্যা ৬৩ লাখ। আইএমও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।