ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ভারত থেকে তেল আসতে পারে বাংলাদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে আসামভিত্তিক নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এরআরএল) বাণিজ্যিক টার্মিনাল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পার্বতীপুর ডিপোতে এই তেল সরবরাহ করা হবে।
২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বার্ষিক এক মিলিয়ন মেট্রিক টন জ্বালানি বহনে সক্ষম এই পাইপলাই তৈরিতে সম্মত হয়েছিলেন মোদি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় গত ১২ ডিসেম্বর।
এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয় ৩৭৭ দশমিক ০৮ কোটি রুপি। এর মধ্যে পাইপলাইনের ভারতের অংশের জন্য ৯১ দশমিক ৮৪ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে এনআরএল। এছাড়া পাইপলাইনের বাংলাদেশ অংশের জন্য ২৮৫ দশমিক ২৪ কোটি রুপি ভারত সরকার অনুদান-সহায়তা হিসাবে অর্থায়ন করছে।
অভিন্ন ঐতিহ্য আর ইতিহাস ছাড়াও ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে বাংলাদেশ ভারত বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশের মধ্যে সম্পর্ক যেমন বিকশিত হয়েছে, তেমনিভাবে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মেঘালয়সহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আসামের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের এনআরএল থেকে গ্যাস ও তেল আমদানি শুরু করবে বাংলাদেশ।