পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নিয়ে বিএনপির অভিযোগকে উদ্ভট ও বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে মরহুম আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিজয় শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিজয়, অর্জনের বিজয় এবং সেলিনা হায়াৎ আইভীর জনপ্রিয়তার বিজয়। নারায়ণগঞ্জে যে নির্বাচন হলো, এটা একটা মডেল নির্বাচন। এই নির্বাচনের পথ ধরে আগামী নির্বাচনও আমরা এভাবে করতে চাই। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাজধানীর শ্যামলীতে সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের কম্প্রিহেনসিভ কিডনি কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির যে অভিযোগ বিএনপি তুলেছে, তা হাস্যকর। তিনি বলেন, এক কথায় এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মডেল নির্বাচন। অনেক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা ছিল নির্বাচন নিয়ে। সব ধারণা পাল্টে দিয়েছে এ নির্বাচন। এমন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে হয়েছে, তা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। একে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ বলেও বর্ণনা করেন তিনি।
অবশ্য বাংলাদেশে ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন’ সম্ভব কী-না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল বলে স্বীকার করেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তবে নারায়ণগঞ্জে সে সন্দেহ উড়ে গেছে। বাস্তবে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত হয়নি। এমন ফ্রি এবং ফেয়ার নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে হয়েছে, তা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
মান্নাকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন কাদের
এদিকে, সদ্য কারামুক্ত নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক অসুস্থ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৩০২ নম্বর কেবিনে ফুল নিয়ে যান তিনি।
কাদের প্রায় আধঘণ্টা কেবিনে থেকে মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন। স্মৃতিচারণ করেন পুরনো দিনের। এসময় বিএসএমএমইউওয়ের ভিসি কামরুল হাসানকে ফোন করে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসময় বলেন, দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতির বাইরেও একটা সম্পর্ক থাকে। গতকালই আসতে চেয়েছি, নির্বাচনের কারণে পারিনি। আজকে প্রোগ্রাম ছিল, শেষ করে চলে এসেছি।
এক সময়কার জাসদ ছাত্রলীগের তুখোড় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে পর পর দুবার মুজিববাদী ছাত্রলীগের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে পরাজিত করে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বামধারার এই ছাত্রনেতা নব্বইয়ের দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন; পেয়েছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও। সেসময় ওবায়দুল কাদের ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর আওয়ামী লীগে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান মান্না। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের পদ হারালে তিনি নাগরিক ঐক্য নামে নতুন দল গঠন করেন।
দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের শুরুর দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের টানা অবরোধ-হরতাল ও সহিংসতায় প্রাণহানির মধ্যে সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানান মান্না। সংলাপ না হলে আবারও ‘ওয়ান ইলেভেনের’ কথা বলে আলোচিত হন তিনি। এরপরই বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিফোন আলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়, যেখানে তার কণ্ঠে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা হস্তক্ষেপের উদ্যোগে আগ্রহের সুর শোনা যায়। এই প্রেক্ষাপটে ওই বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে আটক করে পুলিশ। সেনা বিদ্রোহে উসকানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারের ২১ মাস পর গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন মান্না। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।