Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০১ এএম

কোটি কোটি বছর আগে এই পৃথিবীর বুকেই দাপিয়ে বেড়াত ওরা। সেই ডাইনোসরদের অন্তত খানচারেক প্রজাতির জীবাশ্মের সন্ধান মিলল চিলি থেকে। এর মধ্যে একটি মেগারাপটর প্রজাতির, দাবি গবেষকদের।

দক্ষিণ চিলির লা চিনা উপত্যকার কাছে সেরো গুইদো এলাকায় জীবাশ্মগুলি পাওয়া গিয়েছিল। ২০২১ সালে সেগুলিকে পরীক্ষাগারে নিয়ে আসা হয়। গবেষকদের দাবি, ওই চত্বর থেকে যে ডাইনোসরদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তা আগে কখনও দেখা যায়নি। ‘চিলিয়ান আন্টার্কটিক ইনস্টিটিউট’ ইঞ্চ-র প্রধান মার্সেলো লেপ বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই উচ্ছ¡সিত। বললেন, লা চিনা উপত্যকায় আগে খোঁজ পাওয়া যায়নি এমন প্রজাতির যে এখন হদিস পাওয়া যাচ্ছে, বৈজ্ঞানিক দিক থেকে তা সব সময়ই দুর্দান্ত বিষয়। এখানে আমরা প্রায়ই নিত্যনতুন জীবাশ্ম পাচ্ছি। গত এক দশক ধরে এই এলাকা গবেষকদের দুর্দান্ত রসদ জুগিয়ে যাচ্ছে। তবে যে অভিযান ও পরবর্তী আবিষ্কার নিয়ে সা¤প্রতিক হইচই, সেটি চিলি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে চালিয়েছিল ইঞ্চ। সেখান থেকেই চার প্রজাতির ডাইনসোরকে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।

মূলত দাঁত ও পোস্টক্রেনিয়াল হাড়ের গঠন দেখে ওই ডাইনসোরের প্রজাতিগুলি নিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মেগারাপটর-এর ধ্বংসাবশেষ। থেরোপড গোত্রের এই মাংসাশী ডাইনোসরের ছোট ছোট দাঁত ছিল। উপরের দিকের চোয়ালের গঠন বেশ বড়। সঙ্গে দৈত্যাকার নখ। ৬ কোটি ৬ লক্ষ বছর থেকে ৭ কোটি ৫ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত মেগারাপটর, দাবি বিজ্ঞানীদের। হিসেবমতো তখন ক্রেটাসিয়াস যুগ। চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক, জ্যারেজ আমুদেও বললেন, ওরা যে এই প্রজাতিরই তা দাঁতের গঠন দেখে আরও ভালো করে বোঝা গিয়েছে। ভিতরের দিকে ওদের দাঁতগুলি আরও বাঁকানো।’ সব মিলিয়ে খাদ্যশৃঙ্খলে রীতিমতো উপরের দিকে ছিল এই মেগারাপটররা। এছাড়াও দুটি প্রজাতির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। আকৃতিগত দিক থেকে এরা ভেলোসিরাপটর-এর কাছাকাছি। পাশাপাশি, দুটি পাখিরও জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে একই এলাকা থেকে। গবেষণায় যা উঠে এসেছিল তার সবটা গত ডিসেম্বরে জার্নাল অফ সাউথ আমেরিকান আর্থ সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত হয়েছে। তবে চিলির যে অঞ্চল থেকে জীবাশ্মগুলির হদিস পাওয়া যায়, তাতেই গবেষকমহলে বিস্ময়ের শেষ নেই। সূত্র : এবিপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ