ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকার কেয়ারটেকার হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, টাকা চুরি করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম কাউসারের রুমে প্রবেশ করে মাসুদ। কিন্তু ভিকটিম সজাগ হয়ে আসামী মাসুদ’কে চিনে ফেলায় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং একপর্যায়ে গ্রেপ্তার মাসুদ ভিকটিমকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পলিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের নাম- মো. মাসুদ (২৪)।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
একইদি বিকেলে র্যাব-১০ এর নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ জানায় র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামী কেয়ারটেকার হত্যাকান্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। এসময় তার কাছ থেকে মৃত মাসুদ এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার আসামী মাসুদ একজন সুযোগ সন্ধানী চোর। সে গত ৯ জানুয়ারি রাতে ভিকটিম কাউসারের রুম থেকে টাকা চুরি করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম কাউসারের রুমে প্রবেশ করে। কিন্তু ভিকটিম কাউসার সজাগ হয়ে আসামী মাসুদকে চিনে ফেলায় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং একপর্যায়ে আসামী মাসুদ কেয়ারটেকার কাউসার’কে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পলিয়ে যায়।
এসময় আসামী মাসুদ ভিকটিম কাউসারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সাথে নিয়ে যায়।আসামী মাসুদ ও মৃত কাউসার একই থানার পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা এবং তারা পরস্পর পূর্ব পরিচিত বলে জানা যায় ।
অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার আসামী গত ১ বছর ধরে মালিবাগে হলিমাইন্ড মাদক নিরামায় রিহ্যার সেন্টারে কাজ করে আসছিল। সে এর আগেও নবাবপুর এলাকায় একটি পার্সের দোকনে কাজ করেছিল এবং সেখান থেকে টাকা চুরির দায়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলেও জানায় র্যাবের এই কর্মকর্তা।