সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(গ) বিধি অনুযায়ী যথাক্রমে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেতুয়া পারভীনকে (বিপি-৭৯০৬১০৯৮১৪) চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

এর আগেও তাকে এসব অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের গত ৫ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেতুয়া পারভীনকে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকার উত্তরা ১১ এপিবিএন থেকে বরিশালের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু সেই আদেশ অনুযায়ী তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি।

এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ প্রতিপালন না করা এবং বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান হতে বিরত থাকা সংক্রান্ত উত্থাপিত অভিযোগ অনুসন্ধানকালে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার একাধিক নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি কোনও লিখিত জবাব প্রদান করেননি। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর থেকে তিনি কর্মস্থলে না এসে বাসায় অবস্থান করেছেন এবং বেতন ভাতাদি উত্তোলন করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেতুয়া পারভীনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(গ) বিধি অনুযায়ী যথাক্রমে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩(গ) মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড প্রদানের প্রস্তাবের বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

তাই তাকে নিয়মানুযায়ী ‘চাকরি হইতে অপসারণ’ গুরুদণ্ড প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে এ বিভাগের ২০২১ সালের ২১ মার্চের ৭৮ নম্বর প্রজ্ঞাপনমূলে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।