পিচ যে ধীরে ধীরে স্পিন বোলিং এর জন্য সহায়ক হয়ে উঠেছিল সেটি নিউজিল্যান্ড এর প্রথম ইংনিস চলাকালীনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।প্রথম ৩০ ওভারে যেখানে কিউই ওপেনার ডেভিড কনওয়ে ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন অনায়াসে দুইশ রানের কাছাকাছি তুলে ফেলেছিলেন,সেখানে শেষ ২০ ওভার নাওয়াজ-উসামার স্পিন ঘূর্ণিতে ধীরে ধীরে মন্থর হতে থাকা পিচে রান তুলতেই হাঁসফাঁস করতে হয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের।এক সময়ের রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখা কোনরকম আড়াইশোর কোটা পেরোতে।
তবে স্পিন বিষে খেই হারালেও ইনিংসের শেষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড দলপতি কেন উইলিয়ামসন। তাই বল হাতে তিনি পেসারদের থেকে বেশি আস্থা রেখেছেন স্পিনারদের উপর। ৪৩ ওভারের পাকিস্তানের ইনিংসে মূল ও পার্ট টাইমার মিলিয়ে ৩০ ওভারই স্পিন করিয়েছেন তিনি।তাতে মিলছে সুফলও।কিপটে বোলিং এর পাশাপাশি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিউইদের ৭৯ রানের বড় জয় এনে দিয়েছেন সোদি-স্যাটনাররা।এই ম্যচের জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সমতা ফেরালো নিউজিল্যান্ড। এক বাবর আজম ছাড়া পাকিস্তানের কোন ব্যাটসম্যানই উইকেটের সুবিধা করতে পারেননি।
টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেওয়া নিউজিল্যান্ড ফিন এলেনকে হারায়।তবে এরপরই সব ফরমেটে দুর্দান্ত ফরমে থাকা কিউই ওপেনার ডেবিড কনওয়ে কিউই দলপতি কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে বিশাল জুটি করেন। উইকেট জটিতে দুইজনে মিলে যোগ করেন ১৮১ রান। দুজনে মিলে যে দ্রুততার সাথে রান তুলছিলেন, এক সময় মনে হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডের দলীয় স্কোর ৩৫০ কাছাকাছি পৌঁছবে।তবে দলীয় ১৮৩ রানের মাথায় সেঞ্চুরি করার কনওয়কে সাজঘরে ফেরানোর মাধ্যমে মোহাম্মদ নাওয়াজ নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেন। সেই চাপ সামলে বাকি ইনিংসে আর বেরোতে পারেনি কিউইরা।শেষ ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে অতিথিরা তুলতে পারে কেবল ৭০ রানের কিছু বেশি,এক বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ২৬১ রানে। পাকিস্তানের হয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন বাহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ।নাসিম শাহ নেন তিন উইকেট।
২৬১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে ইনিংসের কোন সময়ই ফেভারিট মনে হয়নি। সময়ের সাথে সাথে মন্তর হতে থাকা উইকেটে নিয়ন্ত্রিত বোলিং এ হারিস সোহেলদের-রিজওয়ানদের কোন সুযোগই দেননি কিউই স্পিনাররা।শুরু থেকে ধুঁকতে ধুঁকতে ৪৩ ওভারে ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজমের ১১৪ বলে ৭৯ রান ছাড়া উল্লেখ করার মতো কিছু করতে পারেননি আর কেউ।নিউ জিল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।সাউদি ও সোধি নেন সর্বোচ্চ ২টি করে।একই মাঠে আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।