মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গতকালই যোশিমঠের একাধিক বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬০০র বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তারমধ্যে যে বাড়িগুলির অবস্থা আশঙ্কাজনক, সেগুলি ভেঙে ফেলা হবে। তার মধ্যে রয়েছে দু’টি হোটেলও। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে যোশিমঠ নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তা নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো যোশিমঠকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যে অংশগুলি একেবারে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, সেখানেই একাধিক বাড়ি ভেঙে দেয়া হবে। গতকাল থেকেই ধাপে ধাপে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। মাউন্ট ভিউ ও মালারি ইন নামে দু’টি হোটেলও ভেঙে ফেলা হবে। কারণ ধসের ফলে একে অপরের গায়ে হেলে পড়েছে এই হোটেল দু’টি। জানা গিয়েছে, বাড়ি ভাঙার সময়ে উপস্থিত থাকবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
যোশিমঠের বিপর্যয় খতিয়ে দেখতে গতকালই সেখানে যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘সব মিলিয়ে মোট ৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান যোশিমঠের ৩০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো এলাকা ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রিপোর্ট পেশ করবেন বিশেষজ্ঞ কমিটি।’ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে আপাতত রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে যোশিমঠের বাসিন্দাদের। সব দিক দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
যোশিমঠের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সমস্ত বিষয়ই একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এই সমস্যার সমাধান করতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। মামলার শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারির তারিখ চূড়ান্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।