নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দিন দুয়েক আগে ফ্রান্স জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে চুক্তি নবায়ন করেছেন দিদিয়ের দেশম। তাতে ভুল প্রমাণিত হয়ে গেল কাতার বিশ্বকাপের আগে করা ফ্রান্সের কিংবদন্তী থিয়েরি অঁরির এক ভবিষ্যত বাণী। সাবেক এই আর্সেনাল স্ট্রাইকার গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপের পর ফ্রান্সের কোচ হতে যাচ্ছেন ফরাসি মহাতারকা জেনিদিন জিদান। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অলৌকিক কিছু না ঘটলে অন্তত আগামী চার বছর ফ্রান্স কোচের চেয়ারে বসা হচ্ছে না জিদানের। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নটা আসছে যে জিদানের ভবিষ্যত ঠিকানা কোথায়? গুঞ্জন আছে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হতে যাচ্ছেন সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ বস। এদিকে জিদানকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লু গ্রেত। তার সেই বেফাঁস মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করে জিদানের পাশে দাড়িয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে ও ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন গ্রেত। তবে ততক্ষণে পানি যতদূর গড়ানো গড়িয়ে গেছে।
ফ্রান্স ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দিদিয়ের দেশমের মেয়াদ বাড়ানো থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। দলকে টানা দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যাওয়া এই কোচের চুক্তি ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ফেডারেশন। ফ্রান্সের একটি বেতারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লু গ্রেতকে এই প্রসঙ্গেই জিজ্ঞেস করা হয়, জিদান যদি এখন ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে নেন? এতেই বেশ চটে গিয়ে লু গ্রেত বলেন, ‘আমার তাতে মাথাব্যথা নেই। তার যেখানে ইচ্ছা সে যেতে পারে। আমি খুব ভালো করেই জানি যে, জিদান সবসময়ই ফ্রান্সের সম্ভাব্য কোচ হওয়ার দৌঁড়ে ছিল। তার শুভাকাক্সক্ষীরও অভাব নেই। কেউ কেউ তো দেশমের বিদায়ের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু দেশমকে নিয়ে গুরুতর আপত্তি কার থাকতে পারে? কারও নয়। আর জিদানের যা ইচ্ছা করতে পারে। আমি পরোয়া করি না। তার সঙ্গে আমার কখনও দেখা হয়নি।’ জিদানের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল কি না, এই প্রশ্নে লু গ্রেতের উত্তর বিতর্কের আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিয়ে জানান, ‘জিদান আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল কি না? অবশ্যই নয়। চেষ্টা করলেও আমি তার ফোন ধরতাম না।’
বছর দুয়েক আগেও জিদানকে ফ্রান্সের কোচ হিসেবে পেতে দারুণ আগ্রহী ছিলেন লু গ্রেত। তবে জিদান তখন রিয়ালের দায়িত্ব থাকায় আগ্রহ দেখাননি জাতীয় দল নিয়ে। ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ২০০০ ইউরো জয়ের নায়ক জিদান। ২০০৬ বিশ্বকাপে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সেই আরেকটি শিরোপা জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিল ফ্রান্স। দেশটির ইতিহাসের সর্বকালের সেরা তিনি। ইতিহাসের একমাত্র কোচ হিসেবে তিনি জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হ্যাটট্রিক শিরোপা। তাকে নিয়ে করা ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন সভাপতির সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পরই তুমুল হইচই শুরু হয় দেশতিতে। ফরাসি ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা এমবাপে টুইটারে লিখেন, ‘জিদানই ফ্রান্স। তার মতো একজন কিংবদন্তিকে আমরা এভাবে অসম্মান করতে পারি না।’ এমন একজন জাতীয় আইকনকে নিয়ে এরকম মন্তব্য মানতেই পারছেন না ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী ও সাবেক টেনিস খেলোয়াড় ইউদেহা কাস্তেহা। তিনিও বেশ চটেছেন লু গ্রেতের উপর, ‘দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থাটি নিশ্চিতভাবেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে ব্যাপারটিতে। খুবই অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য এটি এবং শ্রদ্ধাবোধের লজ্জাজনক ঘাটতি ফুটে উঠেছে এখানে। ফুটবল ও ক্রীড়ার একজন কিংবদন্তিকে নিয়ে এই মন্তব্য আমাদের সবাইকে আঘাত করেছে।’
অন্যদিকে বিশ্বকাপের পর পরই পর্তুগাল জাতীয় দলের ম্যানেজারের পদটি ছেড়ে দেন ফার্নান্দো সান্তোস। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে আবারও জুটি বাঁধতে পারেন জিজু। তবে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন ইতিমধ্যেই স্প্যানিশ ম্যানেজার রবার্তো মার্তিনেজের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে। এছাড়া জিদানকে নিজেদের ডাগ আউটে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রও। তবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজকদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন রিয়ালকে দুইবার লা লিগা ও তিনবার ইউরোপ সেরা বানানো ম্যানেজার। এই পঞ্চাশ বছর বয়সী কোচকে আবার খুব করে চাচ্ছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। সেলেসাওদের সঙ্গে ভাষাগত দূরত্ব মোচন করে জিদান কি নেবেন নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের দায়িত্ব? উত্তরটা সময়ের হাতেই তোলা থাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।