চীনে মহামারী
করোনাভাইরাসে ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে ব্যাপক মৃত্যুর খবর আসলেও দেশটিতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ হাজারের সামান্য বেশি। সেইসঙ্গে কোভিডকে মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে নথিভূক্তি না করতে চিকিৎসকদের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনডিটি জানিয়েছে, বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসককে রোগীদের মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে কোভিড-১৯ উল্লেখ না করতে বলা হয়েছিল। চীনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও এই সতর্ক নির্দেশনা প্রচার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে কেউ মারা গেলে কেবল তাকেই কোভিডে মৃত্যু হিসেবে ধরা হয় চীনে। কিন্তু চিকিৎসার প্রাথমিক স্তরের কোভিড রোগীরা মারা গেলে তাদের কোভিডে মৃত্যু বলে ধরা হচ্ছে না। এমনকি কোভিডে রোগী শারীরিক অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ হওয়ার পর মারা গেলেও কোভিডে মৃত্যুর তালিকায় যোগ করছে না সরকার।
বেইজিংয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, তিনি ও তার সহকর্মীরা সম্প্রতি কম্পিউটারে টাইপ করা একটি নোট পেয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সেখানে রোগীর মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে ‘কোভিডের কারণে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার’ কথা না লেখার চেষ্টা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের প্রতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসকরা যে বার্তাটি পেয়েছেন তা অভ্যন্তরীণভাবে প্রচার করা হয়েছে নাকি সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তা এসেছে, সেটি পরিষ্কার নয়। চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুরূপ সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়েছে। সেখানে অনুরোধ জানানো হয়, চিকিৎসকরা যেন ডেথ সার্টিফিকেটগুলোতে উদাসীনতা কিংবা দায়িত্ব জ্ঞানহীনভাবে ‘কোভিড’ এর কথা না উল্লেখ করে।