নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বছর দুয়েক আগে যেবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতল, সেই দলের সবচেয়ে প্রতিভাবান ভাবা হত তৌহিদ হৃদয়কে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ থেকেই ফর্মের সঙ্গে আড়ি দিয়ে বসেন এই ডান হাতি ব্যাটার। উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্মে দীর্ঘদিন ছিলেন না ছন্দে। অবশেষে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিইয়ার লিগে এই ব্যাটার ফিরে পেলেন সেই পুরোনো সুর। আগের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বড় স্কোর তাড়া করতে গিয়েও জ্বলে উঠেছিলো হৃদয়ের ব্যাট। বরিশালের মত গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের বিপক্ষেও বড্ড হৃদয়হীন ভাবে ব্যাট চালালেন হৃদয়। তার ব্যাটের ভয়ংকর সুন্দর সুরে ভর করে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিলো মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লার ৬ উইকেটে তোলে ১৪৯ রান, সিলেট অনায়াসে পেরিয়ে যায় ৫ উইকেট ও ১৪ বল হাতে রেখে।
টানা কয়েকদিন কুয়াশা ও শীতের চাদর থেকে বের হয় গতকাল মিরপুর ছিল সূর্যের আলয় আলোকিত। শের-ই-বাংলায় আবহাওউয়ার সঙ্গে মাঠের খেলাতেও ফেরে উষ্ণতা। বিপিএলের এবারের আসরের আগের ম্যাচগুলোয় রীতি ছিল প্রথমে ব্যাট করা দলের ক্রিজে টড়িকে থাকতে নাভিশ্বাস উঠা। তবে গতকাল ব্যাটিং স্বর্গ না হলেও ব্যাটসম্যানের শট খেলার সুযোগ ছিল যথেষ্টই। তা কাজে লাগাল দুই দলই। প্রথম ইনিংসের পর দেড়শ রানকে বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও, শেষ পর্যন্ত লড়াইটা একপেশে করে ফেলন হৃদয়-মুশফিকরা। ফলে সিলেটের তিন নাম্বার শিকার হল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিয়ের সিধান্ত নেন সিলেট কাপ্তান মাশরাফি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। মাত্র ৮ রান করে ফেরেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ওপেনার। এরপর ডেভিড মালান এবং সৈকত আলি মিলে ২৮ রানের জুটি গড়েন। যা থামে ১২ বলে ২০ রান করে সৈকত আলি আউত হলে। এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও দ্রুত ফিরলে জাকের আলি একাই লড়াই করলেন সিলেট বোলারদের বিপক্ষে। এই ডানহাতি ব্যাটার ৪৩ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া জাকিরের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি করা ডেভিড মালান করেন ৩৭ রান। মোহাম্মদ আমির ও থিসারা পেরেরা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে ৬ রান করে আউট হন মোহাম্মদ হারিস। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে অবিচল ছিলেন হৃদয়। জাকির ও মুশফিকের সঙ্গে যথাক্রমে ৩০ ও ৪২ রানের জুটি করে, দলকে জয়ের কাছাকাছি রেখে আউট হন হৃদয়। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রান করে আউট হন তৌহিদ হৃদয়।
ম্যাচসেরা হৃদয় গণমাধ্যমকে জানান, আগের বিপিএলের হতাশাই তার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে, ‘গত বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটি হারার পর মানসিকভাবে অনেক আপসেট ছিলাম। কারণ, একটা বাউন্ডারি মারতে পারলেই আমরা জিততাম। আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম, তবে চেষ্টা করেছি কীভাবে আরও ভালো করা যায়। চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে নির্দিষ্ট কিছু শটে উন্নতি করার।’ গত বিপিএলে ১১ ম্যাচ খেলে তার রান ছিল ১৩৬। এবার দুই ইনিংস খেলেই রান হয়ে গেছে ১১১। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার জানালেন, ‘আমাদের খুব ভালোভাবে স্বাধীনতা নেওয়া আছে দল থেকে।’
অন্যদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে এবারের বিপিএলের প্রথম শতরান করলেন আজম খান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১০৯ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেয়ার পথে খুলনা টাইগার্সের এ পাকিস্তানি মিডল অর্ডার নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেরও প্রথম শতকটি পেয়ে গেলেন। পাকিস্তানে হয়ে তিনটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে কোন তিন অংকের ইনিংস খেলতে পারেননি দেশটির কিংবদন্তী ব্যাটার মঈন খানের ছেলে আজম। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৮৮ রানের।
চ্যালেঞ্জার্সের পেসার মৃত্যঞ্জয় চৌধুরীর করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে তিন অংকে পৌঁছান এ পাকিস্তানি। ৩৩ বলে পঞ্চাশ পূরণের পর ১০০-তে পৌঁছাতে খেলেছেন মাত্র ২৪ বলে। ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ৯টি চারের মার। মাত্র পাঁচ রানের মাথায় খুলনার ওপেনার শারজিল খান আউট হলে তামিম ইকবালকে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়েন আজম। তামিম আউট হন ৪০ রান করে। চট্টগ্রামের হয়ে আবু জায়েদ ২৯ রানে নেন দুটি উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।